রাশিয়ার বাণিজ্যিক অংশীদার বন্ধুরাষ্ট্রের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক আরোপের হুমকি নিয়ে মুখ খুলল মস্কো। ওয়াশিংটন নিজেদের আধিপত্য বজার রাখতে গ্লোবাল সাউথ দেশগুলোর ওপর নয়া ঔপনিবেশিকতা নীতি অনুসরণ করছে বলে অভিযোগ করেছে রাশিয়া।
সোমবার (৪ আগস্ট) এক বিবৃতিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্বাধীন মত বেছে নেয়া দেশগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্র ‘রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত অর্থনৈতিক চাপ’ চাপিয়ে দিচ্ছে। এ অবস্থায় প্রকৃত বহুপাক্ষিক বিশ্ব ব্যবস্থা সচল রাখতে নিজেদের বন্ধুদের সঙ্গে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করতে চায় মস্কো।’
রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হুমকিকে বর্তমান সময়ের এক ‘দুঃখজনক বাস্তব’ বলে উল্লেখ করেছে মস্কো। এর ফলে গোটা বিশ্ব প্রভাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রাশিয়ার অভিযোগ, নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে এই নয়া ঔপনিবেশিক নীতিতে এগোচ্ছে আমেরিকা। যারা এই নীতি মানছে না, তাদের ওপর আমেরিকা রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে চাপ তৈরির চেষ্টা করছে।
ব্রিকস রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের সমালোচনা করে জাখারোভা বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যেকোনো শুল্ক যুদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞা ইতিহাসের স্বাভাবিক গতিপথ পাল্টাতে পারবে না। আমাদের বিভিন্ন বাণিজ্যিক অংশীদার, সমমনা রাষ্ট্র বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোর মধ্যে এবং সর্বোপরি, ব্রিকস দেশগুলো এই দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নেয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের ‘অবৈধ একতরফা নিষেধাজ্ঞা’র মোকাবিলা করতে বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করতে রাশিয়া প্রস্তুত বলে জানান জাখারোভা।
এর আগে রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, ‘ভারত কেবল বিপুল পরিমাণে রাশিয়ান তেল কিনছে না, বরং তারা ক্রয়কৃত তেলের বেশিরভাগ অংশ বড় লাভের বিনিময়ে খোলা বাজারে বিক্রি করছে। রাশিয়ান যুদ্ধযন্ত্রের হাতে ইউক্রেনের কত মানুষ মারা যাচ্ছে, তারা (ভারত) তাদের পরোয়া করে না।’
ভারত সরকারের দুটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ট্রাম্পের হুমকি সত্ত্বেও ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে।
সূত্র: এনডিটিভি
এমআর/টিকে