‘পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক’ গুজব, কক্সবাজারে ঘুরতে গেছেন এনসিপি নেতারা

কক্সবাজারে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠকের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে, এনসিপি সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এই খবরকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি, এনসিপির উচ্চপদস্থ নেতারা কোনো রাজনৈতিক বৈঠকে অংশ নেননি, বরং বর্তমানে তারা কক্সবাজারে অবকাশ যাপন করছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে যুগ্ম সদস্য সচিব (মিডিয়া) মুশফিক উস সালেহীন দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি গুজব। কেন্দ্রীয় নেতারা সেখানে ঘুরতে গেছেন।

জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মুঠোফোনে বলেন, পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে যেসব নিউজ ছড়ানো হচ্ছে তার পুরোটাই গুজব। আমরা এমন মিটিংয়ের বিষয়ে কিছুই জানি না।

এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়, এই মুহূর্তে কক্সবাজারে অবস্থান করছেন পিটার হাস। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ পাঁচ নেতা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সেখানে গিয়েছেন। কক্সবাজারের একটি হোটেলে তারা বৈঠক করবেন।

মূলত ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে সারাদেশ যখন নেতাকর্মী ও জনসাধারণ ঢাকায় আসছেন ঠিক সেই সময়ে কক্সবাজার গেলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, তাসনিম জারা ও খালেদ সাইফুল্লাহ। এতেই কৌতূহল তৈরি হয়েছে জনমনে। এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট দেওয়া হচ্ছে। কেউ কেউ পোস্টে দাবি করেছেন- পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করতে এই নেতারা কক্সবাজারে গেছেন।

দলটির বিশ্বস্ত একটি সূত্র দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে ফেসবুকে দেখছি- নেতারা কক্সবাজার গেছেন। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম তারা কক্সবাজারে ঘুরতে গেছেন। পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে যে খবরটি বের হয়েছে, সেটি গুজব-মিথ্যা। তবে, পিটার হাস মাঝেমধ্যে কক্সবাজারে তার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন। গুজবকারীরা সেটাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন। এনসিপি পিটার হাসের সঙ্গে কোনও বৈঠক করেনি। নেতারা বিকেলেই ঢাকা ফিরে আসবেন বলে জানি।

এদিকে বৈঠকের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

টিকে/

Share this news on:

সর্বশেষ

img
রাকসু নির্বাচনে ২৫ হাজার ভোটার, খসড়া তালিকা প্রকাশ Aug 07, 2025
img
যান্ত্রিক ত্রুটিতে মাঝ আকাশ থেকে ফিরে এলো ব্যাংককগামী বিমান Aug 07, 2025
img
এই যুদ্ধ বাইডেনের, আমি শুধু যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিতে চাই: ট্রাম্প Aug 07, 2025
img
নানা গুঞ্জনের মাঝেই এবার ‘গোপনে’ হোটেল বদলালেন হাসনাত-সারজিসরা Aug 07, 2025
img
ছোট থেকেই জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখি, এখনও দেখছি: সোহান Aug 07, 2025
img
জন্ডিস থেকে জটিলতা, তরুণ অভিনেতার অকালপ্রয়াণ Aug 07, 2025
img
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : মঈন খান Aug 06, 2025
img
ট্রাম্পের দূতের সঙ্গে পুতিনের বৈঠক, ‘গঠনমূলক’ আলোচনার ইঙ্গিত Aug 06, 2025
img
শাহিদের চেয়ে বয়সে বড় দেখালে বেমানান লাগবে, বিদ্যাকে বলে দেন নির্মাতারা Aug 06, 2025
img
এক রাতেই দুই হিট সিনেমা: ওটিটিতে আসছে ‘উৎসব’ ও ‘তাণ্ডব’ Aug 06, 2025
img
যারা মুক্তিযুদ্ধ মানে না, তারা জুলাই সনদে হতাশ হয়েছে: আযম খান Aug 06, 2025
img
ওয়াশরুমে গিয়ে কল ছেড়ে দিয়ে কান্না করেছি, যাতে কেউ না শুনে : তানিয়া বৃষ্টি Aug 06, 2025
img
বিজিবি ও বিএসএফ পতাকা বৈঠকে ১৩ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর Aug 06, 2025
img
যানজটে ঢাকাবাসীর দুর্ভোগে দুঃখ প্রকাশ করল বিএনপি Aug 06, 2025
img
জুলাই ঘোষণাপত্রের পর নির্বাচন বানচালের নতুন আভাস পাওয়া যাচ্ছে: গয়েশ্বর Aug 06, 2025
img
‘আবু সাঈদ হত্যার ভিডিও এআই দিয়ে বানানো’, হাসিনার আইনজীবী Aug 06, 2025
img
মেজর লিগ সকারের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হচ্ছেন সন Aug 06, 2025
img
ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত Aug 06, 2025
img
বিপাকে মিঠুন চক্রবর্তী, প্রতারণা মামলায় ছাড় দিলো না আদালত Aug 06, 2025
img
'সানাই যেসব অভিযোগ তুলেছে, সেগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন' Aug 06, 2025