আলোচিত মডেল সুপ্রভা মাহবুব বিনতে সানাই মাহবুবের স্বামী আবু সালেহ মুসার বিরুদ্ধে যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন। বুধবার (৬ আগস্ট) আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আসামিকে হাজির হতে সমন জারি করেন।
সানাইয়ের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্বামী আবু সালেহ মুসা তার কাছে ২২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। তিনি বলেন, আমি নিজের জমানো ১২ লাখ টাকা ও বাবার কাছ থেকে আরও ৭ লাখ টাকা দিয়ে তাকে সহায়তা করেছি। এরপরও সে আবার ২২ লাখ টাকা চায়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, টাকা না দেওয়ায় তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয় এবং ২০২৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তাকে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়। আমি সব সময় চাইতাম আমরা একসঙ্গে থাকি, সংসারটা টিকুক। কিন্তু সে বলে, তুমি যত লিগ্যাল নোটিশ পাঠাও, আমি আর তোমাকে নেব না।
অন্যদিকে, একই দিন সন্ধ্যায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে এক গণমাধ্যমকে আলাপকালে সানাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেন আবু সালেহ মুসা।
তিনি বলেন, সে যেসব অভিযোগ তুলেছে, সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি কখনও তার কাছ থেকে টাকা নিইনি। বরং চাকরি না থাকলেও প্রতিমাসে তাকে বাসাভাড়া ও অন্যান্য খরচ পাঠাতাম। আমার মায়ের পেনশন থেকে মাসে ১৭ হাজার টাকা দিতাম।
মুসার দাবি, আমার চাকরি চলে যাওয়ার পর থেকেই সানাই আমাকে এড়িয়ে চলতো। বলত, তোমার চাকরি আছে নাকি? আমি শুধু চাইছিলাম সে আমার পাশে থাকুক। এমনকি বলেছিলাম, রংপুরে এসে একসঙ্গে থাকি। কিন্তু সে আসেনি।
তিনি বলেন, আমি কখনো তাকে আঘাত করিনি। সে নিজেই চাকরি করে, কিন্তু আমি অফিসে যেতে চাইলে সে বাধা দেয়। আমাকে বলত, আমি সেলিব্রিটি, আমার ওপর অনেক লোক আছে, এই বলে ভয় দেখাত।
মুসা আরও জানান, কিছুদিন আগে তার বাবা মারা গেছেন। মায়ের অসুস্থতার কারণে তিনি গ্রামে রয়েছেন। এ কারণে সাময়িকভাবে খরচ কম দিতে হয়েছে। কিন্তু সেটা নিয়ে মামলা করবে, এটা কল্পনাও করিনি।
বিয়ের সময় মোহরানার পরিমাণ প্রসঙ্গে মুসা বলেন, তার মোহরানার চার লাখ টাকা আমি দিয়েছি। অথচ আজ সে বলছে আমি যৌতুক চেয়েছি।
সানাই ও মুসা ২০২২ সালের মে মাসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। আদালতে দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্র অনুযায়ী, বিয়ের সময় সানাইয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও আসবাবপত্র দেওয়া হয়। স্বর্ণালঙ্কারগুলো এখনো স্বামীর হেফাজতে রয়েছে বলে মামলায় বলা হয়।
এমকে/টিএ