দশ বছর পর দেব ও শুভশ্রীর জুটি ফিরছে রুপালি পর্দায়। 'ধূমকেতু' ছবির ট্রেলার লঞ্চের পর থেকেই যেন এক রকম আবেগের জোয়ারে ভাসছে অনুরাগীরা। ‘দেশু’ জুটিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এক অন্যরকম উত্তেজনা, যেটা ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ার প্রতিটি কোণে। এই জুটির ফিরে আসা মানেই যেন সেই পুরনো ব্লকবাস্টার দিনের স্মৃতি উসকে দেওয়া। তবে দেব-শুভশ্রীর পুনর্মিলনের নেপথ্যে একাংশ ভক্ত কৃতিত্ব দিচ্ছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী এবং অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্রকে তাঁদের ‘সহনশীলতা’ ও ‘পরিণত মনোভাব’-এর জন্যই সম্ভব হয়েছে এই বহু প্রতীক্ষিত পুনর্মিলন।
কিন্তু এই আবহেই দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে রাজ চক্রবর্তীর প্রাক্তন স্ত্রী শতাব্দী মিত্রর একটি ফেসবুক পোস্ট। পোস্টটি কোনো নাম উল্লেখ না করলেও, তার প্রতিটি শব্দ যেন ব্যক্তিগত অভিমান, যন্ত্রণা ও আঘাতের ইঙ্গিত বহন করে। তিনি লেখেন, ‘কীরে কেমন লাগছে? আমারও ঠিক এরকমই লেগেছিল, ঠিক এইরকমই। বুঝলি তো? হিসট্রি রিপিটস। বুকের বাঁ দিকটা চিনচিন করছে তো… আমারও করেছিল, ঠিক তেরো বছর আগে।’
এই পোস্ট নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। অনেকেই মনে করছেন, এই বক্তব্য সরাসরি রাজ চক্রবর্তীকে লক্ষ্য করেই। শতাব্দীর আরেকটি মন্তব্য সেই অনুমানকে আরও জোরালো করে ‘আজ তুই যে জায়গায় দাঁড়িয়ে, আমি অনেক আগেই হেঁটেছি সেই পথ ধরে…।’ অতীতের এই আঘাতভরা স্মৃতিচারণ যে শুধুই আবেগ নয়, বরং একটা ব্যক্তিগত ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি, তা বুঝে ফেলেছেন নেটিজেনরা।
তবে শতাব্দী এখানেই থেমে থাকেননি। সংবাদমাধ্যমের কাছে দেওয়া এক মন্তব্যে তিনি বলেন, শুভশ্রীকে দেখতে এখন ‘বলিউড নায়িকার মতো’ লাগছে। কিন্তু রাজকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি, বলেন, ‘ও কতটা হিংসে করতে পারে, সেটা আমি জানি।’
অন্যদিকে রাজ চক্রবর্তীও চুপ থাকেননি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “দেবের প্রাক্তন আমার স্ত্রী।” অতীত নিয়ে ঘাটাঘাটি না করাই শ্রেয়, এমনটাও জানান তিনি। পাশাপাশি, ‘ধূমকেতু’ ছবিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, কাজের ব্যস্ততার জন্য ট্রেলার লঞ্চে যাওয়া হয়নি। তবে ‘দেশু’ জুটির তিনি নিজেও একজন ভক্ত।
পুরনো সম্পর্ক, বর্তমান মেলবন্ধন আর ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন এই সবকিছু মিলিয়েই দেব-শুভশ্রী-রাজ-শতাব্দীর ঘিরে তৈরি হয়েছে এক অনন্য নাটকীয় আবহ। যদিও প্রত্যেকে তাদের বর্তমান জীবনে ভালো আছেন, তবুও অতীতের ছায়া মাঝেমধ্যে ফিরে এসে গল্পটাকে আরও মোহময় করে তোলে।
এমকে/টিএ