দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানসহ কারাবন্দি সব নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবিতে ১৪ আগস্ট থেকে লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)। পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ নেতা আসাদ কায়সার এই ঘোষণা দিয়েছেন।
১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। ১৯৪৭ সালের এই দিনে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করেছিল পাকিস্তান।
মঙ্গলবার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার সোয়াবি শহরে জনসভা করে পিটিআই। সেই সভায় ১৪ আগস্ট থেকে লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে আসাদ কায়সার বলেন, “এটা হবে আমাদের বিক্ষোভের দ্বিতীয় পর্যায়। এরপর আমরা সিন্ধ প্রদেশের দিকে মনোযোগ দেবো।”
তার আগের দিন সোমবার এক ব্যাপক অভিযানে পিটিআইয়ের কয়েক শ’ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুধু পাঞ্জাব প্রদেশেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২ শতাধিক পিটিআই নেতা-কর্মীকে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে পাঞ্জাব প্রাদেশিক আইনসভার ৭ জন এমএলএ বা বিধায়কও আছেন। বিধায়কদের অবশ্য পরের দিন মঙ্গলবার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের চার প্রদেশের মধ্যে এখনও খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রাদেশিক আইনসভা পিটিআইয়ের দখলে আছে। খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুর পিটিআইয়ের একজন জ্যেষ্ঠ ও প্রভাবশালী নেতা। বর্তমানে খাইবার পাখতুনখোয়া রাজ্যটি পাকিস্তানের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর ঘাঁটি এলাকায় পরিণত হয়েছে। টিটিপিকে দমন করতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নিয়মিত অভিযানও চালাচ্ছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবারের সভায় উপস্থিত ছিলেন গান্দাপুর। তিনি বলেন, খাইবার পাখতুনখোয়ায় আর কোনো সেনা অভিযান রাজ্যের জনগণ মেনে নেবে না এবং পাকিস্তানের বর্তমান সরকার যদি শিগগিরই ইমরান খানকে মুক্তি না দেয়, সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হবে পিটিআই।
ইউটি/টিএ