পূর্ব তিমুরকে হারানোর উচ্ছ্বাসের মাঝেও স্বস্তিতে নেই পিটার বাটলার। পরের ম্যাচের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষের খেলা নিয়েই চিন্তিত এখন ইংলিশ বস। বয়সভিত্তিক এ আসরগুলো তার কাছে শিক্ষার জায়গা হলেও, দলের কৌশলে কোনো রক্ষণাত্মক মনোভাব আনতে চান না তিনি। ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তৃষ্ণা-শিখাদের।
প্রথম ম্যাচে লাওসের বিপক্ষে শুরুটা ছিল বেশ নড়বড়ে। একের পর এক মিসে হতাশা জমতে শুরু করেছিল ডাগ আউটে। কিন্তু, যত সময় গড়িয়েছে আধিপত্য দেখিয়েছে লাল সবুজের মেয়েরা। তবে, শেষদিকে গোল হজম আবারো বিপাকে ফেলেছিল দলকে। ম্যাচ শেষে এই ধরনের ফুটবল থেকে বের হয়ে আসতে চেয়েছিলেন বাটলার। দ্বিতীয় ম্যাচে গুরুর মান রেখেছেন তার শিষ্যরা। শুরুর গড়মিল থাকলেও, গুছিয়ে নিতে সময় নেননি আফঈদারা।
শিষ্যদের পারফরম্যান্সে খুশি কোচ পিটার বাটলার বলেন, ‘আমি আজকের (শুক্রবার) খেলায় খুবই খুশি। যদিও শুরুর কয়েকটা মিনিট আমরা ভালো ফুটবল খেলিনি। তবে, সময়ের সঙ্গে মেয়েরা সব গুছিয়ে নিয়েছে। আজ তাদের পাসিং, সেট পিস অসাধারণ ছিল। শান্তি অনেক ভাগ্যবান, ওর ওই বলটা গোল হয়ে গিয়েছে। আসলে ম্যাচে এমন মুহূর্ত মাঝে মাঝেই আসবে, আপনাকে নিজেদের ভাগ্য নিজেদেরকেই গড়ে নিতে হবে।’
প্রথম ম্যাচের নায়ক ছিলেন সাগরিকা। কিন্তু পূর্ব তিমুরের বিপক্ষে একটি অ্যাসিস্ট ছাড়া খুব একটা অবদান ছিল না তার। মূলত প্রতিপক্ষের অতিরিক্ত মার্কিং এর কারণেই নিষ্প্রভ ছিলেন এই ফরোয়ার্ড। কিন্তু তাতে কোনো সমস্যাই হয়নি বাংলাদেশের। তৃষ্ণা, শিখা, শান্তিদের দায়িত্বশীল পারফরম্যান্সে মুগ্ধ বাটলার। দিন দিন পারফরমারের সংখ্যা বাড়ায় উচ্ছ্বসিত এই ইংলিশ কোচ।
তিনি বলেন, ‘তৃষ্ণাকে নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই। ও দারুণ ফুটবলার। শিখাও আজ খুব ভালো করেছে। আমার মূল একাদশ সাজানো দিনে দিনে আরো কঠিন হচ্ছে। আমি এটাই চেয়েছিলাম। মেয়েরা নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বীতা বাড়াবে। এই টুর্নামেন্টগুলো আমাদের শেখার জায়গা।
দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচে মেয়েরা অনেক কিছু শিখবে। ওই ম্যাচের ফলাফল আমার কাছে মূখ্য নয়, ম্যাচটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
জয়ের উচ্ছ্বাসের মাঝেই এখন বড় চিন্তা পরের ম্যাচ। বয়সভিত্তিকে এতদিন দাপট দেখালেও, প্রতিপক্ষ নিয়ে টুকটাক অসন্তোষ ছিল কোচের মধ্যে।
সবসময়ই আরও শক্তিশালী কাউকে চাইতেন তিনি। এবার এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে বাংলাদেশের সামনে শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়া। সে ম্যাচে মেয়েরা কিভাবে রিঅ্যাক্ট করে সেটাই দেখতে চান বাটলার। ফল নয়, সে ম্যাচ থেকে প্রাপ্ত শিক্ষাগুলোই আগামীর পাথেয় হবে বলে বিশ্বাস তার।
তিনি বলেন, ‘কোরিয়া শক্তিশালী এ বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু আমি কোন নেগেটিভ মাইন্ড নিয়ে খেলতে রাজি নই। আমরা আমাদের স্বাভাবিক কৌশলেই খেলব। ঠিকঠাক নিজেদের কাজ করতে পারলে আমরা এ ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবো।
আগামী রোববার (১০ আগস্ট) গ্রুপের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী দল।
এমআর/টিএ