রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) আগামী জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা এই অনশন শুরু করেন। অনশনকালীন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. হাসান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মুইজ ও মো. রায়হান অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাকারিয়া জিহাদ বলেন, আমরা বেলা ১১টা থেকে গণঅনশন শুরু করেছি এবং ইতোমধ্যে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছি। আগামীকালের একনেক সভায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ডিপিপি অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আমরণ অনশন কর্মসূচি চলবে। আমাদের কথা একটাই, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস এবং আগামীকালই তার অনুমোদন চাই।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ডিপিপি অনুমোদনের দাবিতে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। গত ২৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস বয়কটের মধ্য দিয়ে তারা এই আন্দোলন শুরু করেন। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে নানা কর্মসূচি চলছে।
আজ শনিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অ্যাকাডেমিক ভবন-৩-এ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রতীকী অনশনে বসেন এবং শিক্ষার্থীরা গণঅনশন পালন করেন। কর্মসূচিতে সংহতি জানাতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য-সচিব সাইফ মুস্তাফিজ, বহল বাড়ি ও বুড়ি পোতাজিয়া সচেতন নাগরিক ফোরাম, শাহজাদপুর সচেতন নাগরিক ফোরাম, মালিথা স্মৃতি পরিষদ এবং শাহজাদপুর স্বার্থ রক্ষা কমিটির নেতারা।
শাহজাদপুর স্বার্থ রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন সবুজ বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস শাহজাদপুর থেকে স্থানান্তরের কোনো পাঁয়তারা করা হলে সাধারণ মানুষ কঠিনভাবে প্রতিহত করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর নজরুল ইসলাম বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপিপি দ্রুত অনুমোদনের জন্য আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি। আগামীকাল ১৭ আগস্টের একনেক সভায় অনুমোদন না হলে আমরা লাগাতার আন্দোলনে যাব।
গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে যমুনা সেতু অবরোধ করে দুপুর ১টা ১০ মিনিটে তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। এর ফলে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল।
এর আগে, একই দাবিতে গত বুধবার রেলপথ অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন তারা। চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ, মানববন্ধন, প্রতীকী ক্লাস ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচির মাধ্যমে দাবির প্রতি নজর কাড়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছেন।