ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার বিষয়কে স্বতন্ত্রভাবে দেশীয় স্বার্থের অংশ হিসেবে বিবেচনা করেছেন।
ইকোনমিক টাইমস ওয়ার্ল্ড লিডার্স ফোরামে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা থাকলেও ভারতের নীতি স্বাধীনভাবে পরিচালিত হবে এবং তেল ক্রয়ে কোনো প্রভাবিত চাপ মেনে চলবে না।
শনিবার (২৩ আগস্ট) রাশিয়ার সাথে ভারতের জ্বালানি সম্পর্ককে সমর্থন করে এস জয়শঙ্কর এ মন্তব্য করেন।
ভারতের রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল কেনার সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, যদি আপনার ভারত থেকে তেল বা পরিশোধিত পণ্য কিনতে সমস্যা হয়, তাহলে তা কিনবেন না। কেউ আপনাকে তা কিনতে বাধ্য করে না।
তিনি উল্লেখ করেন, ২০২২ সালে, তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গভীর উদ্বেগ ছিল। সেই সময় বলা হয়েছিল যে ভারত যদি রাশিয়ার তেল কিনতে চায়, তাহলে তাদের কিনতে দিন, কারণ এতে দাম স্থিতিশীল হবে।
জয়শঙ্কর বলেন, ‘ভারতের তেল কেনার উদ্দেশ্য ছিল বাজারকে শান্ত করা। আমরা তেলের দাম স্থিতিশীল করার জন্য তেল কিনছি। হ্যাঁ, এটি আমাদের জাতীয় স্বার্থে, তবে এটি বিশ্বব্যাপী স্বার্থেও।’
মস্কোর সাথে ভারতের সম্পর্ক সম্পর্কে জয়শঙ্কর বলেন, আলাস্কা বৈঠকের পর তার রাশিয়া সফরের আলোচনায় দুই পক্ষের বার্ষিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর জোর দেয়া হয়েছিল।
জয়শঙ্কর আরও বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার সাথে বাণিজ্য বাড়াতে চাই। ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে নয়াদিল্লির অবস্থান স্পষ্ট। ভারতের অবস্থান খুবই স্পষ্ট এবং আমরা রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুর দ্রুত অবসান চাই।’
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চলমান বাণিজ্য আলোচনা সম্পর্কে জয়শঙ্কর বলেন, আলোচনা অব্যাহত রয়েছে কিন্তু ভারতের অবস্থান দৃঢ়। আলোচনায় আমাদের লাল রেখা রয়েছে এবং সেগুলো সম্পর্কে আমাদের স্পষ্ট থাকতে হবে। আমরা কৃষক এবং ছোট ব্যবসার স্বার্থ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ট্রাম্প ভারতের উপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। রাশিয়ান তেল কেনা অব্যাহত রাখার জন্য ভারতের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
ভারত-মার্কিন সম্পর্ক সম্পর্কে জয়শঙ্কর বলেন, মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও সংলাপের চ্যানেলগুলো সক্রিয় রয়েছে। ‘আমরা দুটি বড় দেশ, আমাদের আলোচনা করা দরকার এবং আমরা দেখব এটি কীভাবে হয়।’
ইএ/টিকে