আলো ঝলমলে অনুষ্ঠানের মঞ্চে বা লাল গালিচায় পা রাখতেই ক্যামেরার ফ্ল্যাশে ভেসে ওঠে তারকাদের ঝলমলে সাজ। প্রথমে চোখ আটকে যায় পোশাকের দিকে, পরে নজর ঘোরে
গয়নাগাটি থেকে শুরু করে জুতো পর্যন্ত। তখনই গুঞ্জন ওঠে—এই পরিপূর্ণ সাজ কে তৈরি করেছেন? শুধু তারকা নয়, এই জৌলুসের পেছনে থাকা আরেকজন হলেন সজ্জাশিল্পী।
বিশেষ অনুষ্ঠানগুলোতে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা নিজেদের সাজগোজের দায়িত্ব তুলে দেন পেশাদার স্টাইলিস্টের হাতে।
তাই এই শিল্পীদের পারিশ্রমিকও কম নয়। বলিউড অভিনেত্রী রাকুল প্রীত সিং জানিয়েছেন, একটি সাজের জন্য খরচ ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়ে সহজেই এক লাখ টাকার ওপরে পৌঁছে যায়।
অনেকেই মনে করেন, সজ্জাশিল্পীর কাজ শুধু পোশাক বাছাই পর্যন্ত সীমিত। কিন্তু বাস্তবে এর সঙ্গে যুক্ত থাকে একটি পূর্ণাঙ্গ টিম—স্টাইলিস্ট, তার সহকারী, চিত্রগ্রাহক, কেশসজ্জাশিল্পী এবং মেকআপ আর্টিস্ট।
রাকুল নিজে বহু বছর ধরে একই কেশসজ্জাশিল্পী ও রূপটানশিল্পীর সঙ্গে কাজ করছেন। তাদের তিনি নিজের পরিবারের অংশ বলেই মনে করেন। তাই অনেক সময় তারা কোনো পারিশ্রমিক নেন না।
এখানেই শেষ নয়।
বরং আরও একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খায় সবার মনে, এই পোশাকগুলো কি তারকারা কিনে নেন, ভাড়া নেন, নাকি বিনা মূল্যে পান? প্রিমিয়ার বা বড় ইভেন্টে তারকাদের প্রায়ই মজা করতে শোনা যায়, ‘পোশাকটা ফেরত দিতে হবে।’ ফলে সাধারণ মানুষের ধারণা, ডিজাইনাররা নিজেদের ব্র্যান্ডকে আলোচনায় আনতে এই পোশাক দেন একেবারে বিনা মূল্যে।
রাকুল প্রীত সিং অবশ্য এই ধারণা ভ্রান্ত বলেই মনে করেন। তার ভাষায়, সজ্জাশিল্পীকে শুধু পোশাক নির্বাচন নয়, আনা-নেওয়া, কুরিয়ার খরচ, আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড হলে কাস্টমস ও পরিবহণ খরচ সবই সামলাতে হয়। জনপ্রিয় তারকাদের সাজাতে অনেকে আগ্রহী থাকেন ঠিকই, তবে তার মানে এই নয় যে সব সময় পোশাক বিনা মূল্যে আসে।
ব্যক্তিগতভাবে রাকুলের মত, সব পোশাক নিখরচায় নেওয়া নৈতিকতার পরিপন্থী। তাই সুযোগ পেলেই তিনি নিজের পছন্দের পোশাক কিনে নেন।
এসএন