কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একটি স্বার্থান্বেষী মহল ইন্ধন দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিবৃতিতে বলা হয়, একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করতে বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর চালায়। ছাত্র-ছাত্রীদের দাবির বাইরে এই পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।
আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. হেলাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় গত ৩১ আগস্ট দিবাগত রাত সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি (ভার্চুয়্যাল) সভায় বিশ্ববিদ্যালয় আইনশৃঙ্খলা জেলা প্রশাসনের নিকট ন্যস্ত করা হয়। একইসঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাশ ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে মর্মে সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ ছাড়া, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ ক্ষুন্নকারী এবং সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত সাপেক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ স্থিতিশীল ও শৃঙ্খলাময় রাখার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়।
সেইসঙ্গে ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করা হয়েছে দাবি করে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. হেলাল উদ্দীন বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদেরকে উত্তপ্ত করে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হয়েছে। তবে বহিরাগত কেউ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকলে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের শাস্তির আওতায় আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. একে ফজলুল হক ভূইয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে গৃহীত সিদ্ধান্ত না মেনে অনিয়তান্ত্রিক আন্দোলন দুঃখজনক। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ বিনষ্ট হচ্ছে। আশা করছি, শিক্ষার্থীরা বিষয়টি অনুধাবন করে তারা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ফিরে আসবে।
প্রসঙ্গত, কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে বাকৃবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বর্তমানে ক্যাম্পাসে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে গতরাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে সোমবার সকাল ৯টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তেও নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনে অটল রয়েছেন।
পিএ/এসএন