জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের আশ্রয়দাতা পাকিস্তান বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
অব্যাহত নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে সুপ্রিম কোর্টের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন তিনি।
ভারত-পাকিস্তান প্রসঙ্গে রাকিব দাবি করেন, ‘আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের আশ্রয়দাতা ভারত, জামায়াত-শিবিরের আশ্রয়দাতা পাকিস্তান। একমাত্র বিএনপি-ছাত্রদলই হৃদয়ে ধারণ করে-সবার আগে বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, ‘ইসলাম কায়েমের নামে গণহত্যা ও ধর্ষণে জড়িতরা কি কোরআনের কোনো আয়াত থেকে অনুমতি নিয়েছে? ইসলামি ব্যাংকের ফান্ডিং বন্ধ হয়ে গেলে শিবিরের কোনো কর্মী খুঁজে পাওয়া যাবে না।’
ছাত্রদল সভাপতি বলেন, ফরহাদের মতো বিতর্কিত ব্যক্তিদের রক্ষায় এবং ইমেজ পুনরুদ্ধারে প্রশাসন কাজ করছে।
৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে সারা দেশে বট আইডির মাধ্যমে কারা রাজনীতি করছে তা প্রকাশ্যে এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা নিজেদের আদর্শ মওদুদীবাদের বই স্বীকার করতে লজ্জা পান, তারাই এসব বট আইডির ধারক-বাহক।
তিনি আরও দাবি করেন, শিবির সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে মিথ্যাচার ও অপকর্ম ঢাকতে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে রাকিব বলেন, ‘বট আইডির ধারক-বাহকদের বিচার ব্যালটের মাধ্যমে করুন। ডাকসু-জাকসু নির্বাচনে তাদের জবাব দিতে হবে।
শিবিরের প্রতি ছাত্রদল সভাপতি প্রশ্ন রাখেন, ‘ঢাবিতে আপনাদের আত্মস্বীকৃত নেতাকর্মী কতজন? যদি প্রকাশ্যে রাজনীতি করতে লজ্জা পান, তবে চুড়ি-বোরকা পরে রাজনীতি করুন।’
অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) নারীদের রাজনীতি থেকে দমিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে ইসলামী ছাত্রশিবির সক্রিয়ভাবে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
তিনি বলেন, গত এক বছরে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেসব নারী শিক্ষার্থীকে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হতে হয়েছে, তার প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে শিবিরের নেতাকর্মীরা জড়িত।
নাছির বলেন, ‘ঢাবি ভিসি ও প্রক্টরের মদতে এখনও ক্যাম্পাসে গুপ্ত রাজনীতি চলছে। ভিসিকে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিতে হবে-ঢাবিতে আর কোনো গুপ্ত রাজনীতি চলবে না। না হলে আলী হুসেনের দেয়া হুমকির মতো ঘটনা আবারও ঘটতে থাকবে। আর শিবির তখন বলবে, এ ব্যক্তি আমাদের রাজনীতি করে না।’
আসন্ন ডাকসু নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগামী ৯ তারিখের নির্বাচনে শিক্ষার্থীরা যদি গুপ্ত সংগঠনকে ব্যালটে পরাজিত করতে না পারেন, তাহলে কোনো নারী শিক্ষার্থী নিরাপদ থাকবে না। যাদের পূর্বসূরী সংগঠন ‘ছাত্রসংঘ’ ঢাবির হলে হলে গণহত্যায় সহযোগী ছিল, তাদের ক্ষমতায় আসতে দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি আমাদের ক্ষমা করবে না।’
ইএ/টিকে