রাজ্য-রাজনীতি থেকে সিনে দুনিয়ার খবরা-খবর সবকিছু নিয়েই সুর চড়াতে দেখা যায় টলিপাড়ার এক সময়কার শিশুশিল্পী অরিত্র দত্ত বণিককে। যদিও এখন আর সেই ছোট্ট অভিনেতা নেই তিনি।
পরিণত হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে নিজের মত রাখার সাহসও অরিত্রের মধ্যে রয়েছে। তাই কোনও কিছু অন্যায় দেখলেই সপাটে সোশ্যাল মিডিয়ায় তা নিয়ে পোস্ট করেন অভিনেতা।
ইদানিং একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ও কিছু সংবাদমাধ্যমে টলিউডের নায়িকা শুভশ্রীকে 'লেডি সুপারস্টার' বলে সম্বোধন করা হচ্ছে। আর শুভশ্রী নিজেও এটাকে বেশ উপভোগই করছেন। কিন্তু এই লেডি সুপারস্টার তকমা নিয়ে ঘোরতর আপত্তি তুললেন অরিত্র। ফেসবুকে দিলেন লম্বা চওড়া পোস্ট।
অরিত্র তার পোস্টে জানিয়েছেন, সিনে ইন্ডাস্ট্রির পুরুষ নায়কদের ক্ষেত্রে শুধুই সুপারস্টার আর শুভশ্রীর বেলায় কেন 'লেডি' শব্দটা ব্যবহার করা হচ্ছে? এটা শিল্পীদের মধ্যে বৈষম্য করে দেওয়া নয়?
অভিনেতা তার পোস্টে সরাসরি দাবি জানিয়েছেন, এই লেডি শব্দটি বাতিল করা উচিত। তিনি বলেন, দেব, জিৎ বা প্রসেনজিৎকে স্টার বলার সময় কি আমরা জেন্টস সুপারস্টার বলি? তাহলে শুভশ্রীর ক্ষেত্রে 'লেডি' কথাটা আলাদা করে জুড়ে দেওয়ার অর্থ যে স্টার কেবলমাত্র পুরুষরাই হতে পারেন, লেডিসদের জন্যে স্টার হতে গেলে আলাদা কোনো ক্রাইটেরিয়া আছে?
উল্লেখ্য, শুভশ্রীর পরাণ যায় জ্বলিয়া রে ছবিতে অরিত্র শিশুশিল্পী হিসাবে কাজ করেছিলেন। সেটা ২০০৯ সালে। আর ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে সেই অরিত্রই শুভশ্রীকে লেডি সুপারস্টার বলায় বেশ ক্ষুব্ধ। যদিও শুভশ্রীর অভিনয় নিয়ে কোনও খারাপ মন্তব্য করেননি।
বরং অরিত্রর কথায় , শুভশ্রী বহু পুরুষ হিরোর ব্র্যান্ডিংয়ের বাইরে বেরিয়ে নিজের চরিত্রের অভিনয় দিয়ে বহু মানুষের মন জয় করেছেন। শুভশ্রী নিজের বিরাট ফ্যানক্লাবও রয়েছে।
অরিত্রর মতে, শুভশ্রীকে আলাদা করে লেডি তকমা দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। নায়িকা তার নিজের কাজের সাফল্যের কারণে সরাসরি স্টার বা সুপারস্টার তকমা পাওয়ার যোগ্য।
বেশ কয়েক বছর ধরেই শুভশ্রী বাণিজ্যিক ছবি থেকে নিজেকে সরিয়ে অন্য ধরনের সিনেমায় অভিনয় করে নিজের জাত চিনিয়ে দিয়েছেন। 'পরিণীতা' হোক কিংবা 'বৌদি ক্যান্টিন' অথবা 'সন্তান', 'বাবলি', 'গৃহপ্রবেশ' সব ছবিতেই তার চরিত্র বরাবর প্রশংসিত।
সিনেমার পাশাপাশি 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল' ওয়েব সিরিজেও তার অভিনয় দর্শকদের কাছে প্রশংসা পেয়েছে। সময়ের সঙ্গে, কাজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে তার অনুরাগীর সংখ্যাও। ঝুলিতে রয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের 'লহ গৌরাঙ্গের নাম রে' এবং 'রায়বাঘিনী ভবশঙ্করী'।
কেএন/টিকে