১ নভেম্বর থেকে খুলছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ, প্রতিদিন যাবে ২ হাজার পর্যটক

আগামী ১ নভেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে সেন্ট মার্টিন। এ সময় প্রতিদিন ২ হাজার করে পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে চলতি বছরের নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে পর্যটন মৌসুম।

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা।

তিনি জানান, ১ নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য সেন্ট মার্টিন খোলা থাকবে। তবে নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে শুধু দিনের বেলা সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ করা যাবে। আর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে রাতে অবস্থান করতে পারবেন পর্যটকরা।

উপদেষ্টা আরো জানান, প্রতিদিন ২ হাজার করে পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে পারবেন। পর্যটকদের যাওয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে রেজিস্ট্রেশনের ভিত্তিতে এই সফটওয়্যার পরিচালিত হবে।

এর আগে সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটক ও অনুমোদিত জাহাজ নিয়ন্ত্রণে যৌথ কমিটি গঠন করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

এতে সিদ্ধান্ত হয়, সেন্ট মার্টিনে যেতে হলে পর্যটকদের নিবন্ধনসহ নানা বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। যদিও এরপর নয় মাস ভ্রমণের জন্য সেন্টমার্টিনে যাওয়া যাবে না বলে মর্মে সিদ্ধান্ত দেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

সে সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছিলেন, সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতেই ভ্রমণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, সেন্ট মার্টিনকে স্থানীয় জনগণ কেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্রে রূপ দেয়া হবে। তিনি বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বাঁচানোর প্রয়াসকে ভিত্তিহীন কথা দিয়ে ভিন্নপথে পরচালিত করার সুযোগ নেই, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বাঁচাতে বন্ধ রাখা হচ্ছে। সরকার নতুন কিছু নয় বরং বহু পুরনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে।

এর আগে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মাসের জন্য বন্ধ হয় সেন্ট মার্টিনে পর্যটক ভ্রমণ। যার প্রভাব পড়েছে দ্বীপের পর্যটন খাতে। বন্ধ রয়েছে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল। সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত বন্ধ হওয়ায় সুনশান নীরবতা জেটিঘাটে। জাহাজে বেকার সময় পার করছেন কর্মচারীরা।

কেএন/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিশ্বের বৃহত্তম বহুজাতিক বাণিজ্য সংস্থা বাংলাদেশকে দিল সবুজ সংকেত Sep 25, 2025
img
এনসিপি ও গণ অধিকার পরিষদ একসঙ্গে কাজ করছে : সারজিস আলম Sep 25, 2025
img
নিবন্ধন পেল লেবার পার্টি, প্রতীক আনারস Sep 25, 2025
img
আলহামদুলিল্লাহ, এই ব্যালন ডি’অর আমার উত্তর : দেম্বেলে Sep 25, 2025
img
ডাকসু নির্বাচন যে অস্বচ্ছ হয়েছে এটা পানির মতো পরিষ্কার : মেঘমল্লার বসু Sep 25, 2025
img
সরকার থেকে আমাকে সেই অনুষ্ঠানে পাঠানো হয়নি : তাসনিম জারা Sep 25, 2025
img
তরুণরা ঝুঁকি নেয়, ফল ভোগ করে সিনিয়র সিটিজেনরা: রাশেদ খান Sep 25, 2025
img
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাটিং শক্তিমত্তা পরীক্ষা করতে চেয়েছে ভারত Sep 25, 2025
img
রাশিয়া সমর্থন করল ট্রাম্পের জৈব অস্ত্র নিষিদ্বের প্রস্তাব Sep 25, 2025
img
জন আব্রাহম ও ক্যাটরিনার প্রেমকাহিনি নিয়ে বিপাশার চমকপ্রদ মন্তব্য! Sep 25, 2025
img
চীনসহ সব প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করে চলতে চাই : জামায়াত আমির Sep 25, 2025
img
ত্রিমুখী নাশকতার শিকার ট্রাম্প, জাতিসংঘে তদন্তের আবেদন Sep 25, 2025
img
মালয়েশিয়ায় ৬৬২ জন অভিবাসী আটক, বাংলাদেশি ১৫০ Sep 25, 2025
img
ভেদাভেদ নয়, সম্প্রীতির রাজনীতি চায় বিএনপি : মাহবুবুর রহমান Sep 25, 2025
img
দুর্গাপূজায় কেউ অপ্রীতিকর পরিস্থিতির চেষ্টা করলে কঠোর হস্তে দমন: লে. কর্নেল কামরুল Sep 25, 2025
img
প্রথম বল থেকেই অভিষেকের আক্রমণাত্মক খেলার কারণ Sep 25, 2025
img
বাফুফে একাডেমি চীনে সেমিফাইনালে খেলবে Sep 25, 2025
img
সেলিম আল দীনের পদক ফেরতের নির্দেশে নাসির উদ্দীন ইউসুফসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ Sep 25, 2025
img
১ নভেম্বর থেকে খুলছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ, প্রতিদিন যাবে ২ হাজার পর্যটক Sep 25, 2025
img
সাবেক এমপি মুক্তিসহ দুজন ৬ দিনের রিমান্ডে Sep 25, 2025