জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এখন তুলনামূলক শান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাই এই সময়ে সেখানে একটি বাস্তব রাজনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করার যথার্থ সময় এসেছে।
গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে আয়োজিত এক আলোচনায় এ মন্তব্য করেন তিনি। আলোচনা সভাটির আয়োজন করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, যার মূল বিষয় ছিল- ‘বিশ্ব শরণার্থী ও রাজনৈতিক আশ্রয় ব্যবস্থা : কোথায় ভুল হয়েছিল এবং কীভাবে তা সংশোধন করা যায়’। এতে বাংলাদেশ ছাড়াও পানামা, লাইবেরিয়া ও কসোভোর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে খলিলুর রহমান বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, তখন প্রায় এক কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল, কিন্তু যুদ্ধ শেষ হলে তারা সবাই দেশে ফিরে এসেছিল। তিনি আশা প্রকাশ করেন, রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রেও এমন একটি প্রত্যাবর্তনের সুযোগ তৈরি করা যেতে পারে।
রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে তিনি জানান, সেখানে ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ এলাকা এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। আরাকান আর্মি সম্প্রতি কিছু ছবি পাঠিয়েছে, যেখানে দেখা গেছে তারা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ গ্রামে ফিরে যেতে সহায়তা করছে এবং তাদের সঙ্গে আলোচনা করছে।
খলিলুর রহমান বলেন, রাখাইনের অবস্থা এখন আগের তুলনায় স্বাভাবিক হচ্ছে, তাই এটি রাজনৈতিকভাবে উদ্যোগ নেওয়ার উপযুক্ত সময়।
তিনি আরও জানান, আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যাতে অনেক দেশ অংশ নেবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ চায় না আগামী তিন-চার বছর পরেও রোহিঙ্গা শিবিরে বসবাসরত জনগণের জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হোক। বরং এই অর্থ মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন এবং ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য ব্যবহার করতে চায়।
পিএ/টিএ