বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী (বুয়েট) শ্রীশান্ত রায়কে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (২২ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
এদিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চকবাজার থানার উপপরিদর্শক শাহজাহান সিরাজ তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম তার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, এই মামলায় সব কয়টি ধারা জামিনযোগ্য। সে ক্ষেত্রে তিনি এই মামলায় জামিন
তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শামসুদ্দোহা সুমন জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, জামিন যোগ্য ধারা হলেও বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে অনেক ক্ষেত্রে জামিন দেয়া যায় না।
তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হোক। এ সময় বিচারক বলেন, এই মামলার এজাহারের সঙ্গে ধারার অমিল রয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতি বৃহস্পতিবার জামিন শুনানি হবে। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বুয়েটের আহসান উল্লাহ হলে অবস্থান করে ছদ্ম নাম ‘উইকলি সার্ভিস ৯২৩’ (ইংরেজিতে) আইডি ব্যবহার করে মুসলিম নারী ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে চলতি বছরের ৮ জুন থেকে ৭ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন লেখালিখে করে। সেখানে তার মন্তব্যসহ আরো অনেক অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ, ধর্মীয় বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য পোস্ট করেন। এ আসামি ছদ্ম নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবৎ মুসলিম নারী ও ইসলাম ধর্মীয় বিষয়ে অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ আপত্তিকর পোস্ট করে আসছে।
দীর্ঘদিন চেষ্টা করে ছদ্মনামে ব্যবহৃত আইডির প্রকৃত পরিচয়ধারী ব্যক্তি আসামি শ্রীশান্ত রায়কে শনাক্ত করা হয়। আসামির মুসলিম নারী সংক্রান্ত অশ্লীল মন্তব্য এবং ধর্মীয় ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, বুয়েটের শিক্ষার্থী ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে।
ওই ঘটনায় বুধবার চকবাজার থানায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নিরাপত্তা কর্মী মো. আফগান হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আরপি/টিএ