পটুয়াখালীর দশমিনায় মো. শহীদুল ইসলাম নামে এক ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি মাদ্রাসা প্রধানের থেকে প্রায় অর্ধ লাখ টাকা ঘুস গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত মো. শহীদুল ইসলাম উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা। তিনি একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত থাকায় আধিপত্য বিস্তার করছেন বলে অভিযোগ আছে। নামজারি আর দাখিলায় চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দিলে হয়রানি করা হয় বলে অভিযোগ ওই ইউনিয়নের ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
চরবোরহান ইউনিয়ন দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. ইউনুস মিয়া যুগান্তরকে বলেন, তার বাড়ি রনগোপালদী ইউনিয়নে। তিনি একটি ফসলি জমির নামজারি করতে রনগোপালদী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যান। সেখানে গিয়ে হয়রানির শিকার হন। পরে ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলামকে একই জমির নামজারির জন্য দুইবার পনেরো হাজার করে মোট ত্রিশ হাজার টাকা ঘুস দিতে হয় তাকে। এছাড়াও তার কর্মস্থল চরবোরহান ইউনিয়ন দাখিল মাদ্রাসার নামজারির জন্য আরও পনেরো হাজার টাকা ঘুস নেন ওই ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা। ওই মাদ্রাসা প্রধানের থেকে ভূমি কর্মকর্তা মোট ৪৫ হাজার টাকা ঘুস নেন।
ঘুস নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা ভুক্তভোগী মাদ্রাসা শিক্ষককে বলেন, ঘুসের এ টাকা তার অনেককে দেওয়া লাগে।
প্রায় তিন বছর একই কর্মস্থলে আছেন জানিয়ে অভিযোগের বিষয়ে শহীদুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত কোনো অভিযোগ সত্য না।
এ বিষয়ে ইউএনও ইরতিজা হাসান বলেন, সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ও লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টিজে/টিকে