এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, সমাজ সংসারে একটা কথা প্রচলিত আছে, বিপদে বন্ধুর পরিচয়। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে যে ঐতিহাসিক ঐক্য ও বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল, তা বিপদের দিনে খুব একটা কাজে লাগেনি, শুধু বিভিন্ন নির্বাচনে বিজয় ছাড়া। বিএনপি-জামায়াতের ঐক্য যে ঠুনকো ছিল, তা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ও ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবরসহ বিভিন্ন বিপদের সময়ে প্রমাণিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) আয়োজিত ‘রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর স্মরণে’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
২৮ অক্টোবরের স্মৃতিচারণ করে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, এরকম নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ৭৫-এর পর আবার নতুন করে আওয়ামী লীগের ফ্যসিস্ট রাজনীতির উত্থান ঘটেছে। সেদিনের সেই উন্মত্ততায় বামপন্থি আদর্শে বিশ্বাসী কিছু রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা ছিল আরও বেশি হতাশাজনক।
২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের পাশবিক চরিত্র যেমনি নতুন প্রজন্মের কাছে উন্মোচিত হয়েছে, তেমনি জামায়াতের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও কৌশলগত অদূরদর্শিতার প্রকাশও ঘটেছে বলে মন্তব্য করেন মঞ্জু।
তিনি বলেন, লগি-বৈঠা দিয়ে উন্মুত্ত খুনের নেশা যে দলের কর্মীদের চরিত্র হয়ে দাঁড়ায় সে দলটি কোনোভাবেই রাজনৈতিক দল হতে পারে না। পৃথিবীর তাবৎ সন্ত্রাসবাদী দলের নামের কাতারে আওয়ামী, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নাম সন্নিবেশিত হওয়া দরকার। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও জাতিসংঘের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি আওয়ামী লীগকে মানবতাবিরোধী সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর পল্টনে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবে যে নৃশংস মব ও হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল তারই স্মরণে ডাকসু এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েমের সভাপতিত্বে আলোচনায় সভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, এনসিপি নেতা আরিফুল ইসলাম আদিব, শিক্ষক নেতা প্রফেসর আতাউর রহমান বিশ্বাস, প্রফেসর মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, জামায়াত নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, জাহিদুর রহমান, গণঅধিকার নেতা ফারুক হাসান, শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন দলের নেতারা বক্তব্য দেন।
আরপি/এসএন