ছবি: সংগৃহীত
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানি ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দিয়েছে। ফলে গাজাবাসীর খাদ্য মজুদ শেষ হয়ে গেছে।
গত শুক্রবার ডব্লিউএফপি তাদের অবশিষ্ট খাবারের মজুদ স্থানীয় রান্নাঘরগুলোকে দেওয়ার কথা নিশ্চিত করে।
কয়েক দিনের মধ্যে গাজায় খাবার পুরোপুরিভাবে ফুরিয়ে যাবে বলে জাতিসংঘের সংস্থাটি পূর্বাভাস দিয়েছে।
ডব্লিউএফপির ফিলিস্তিন প্রতিনিধি বলেছেন, গাজার চার লাখের বেশি মানুষ খাবারের জন্য ডব্লিউএফপির ওপর নির্ভরশীল। যদি সংস্থার খাবারের মজুদ ফুরিয়ে যায়, তাহলে এত বিপুলসংখ্যক মানুষের যাওয়ার মতো বিকল্প জায়গা নেই।
ওই প্রতিনিধি বলেন, ‘স্থানীয় এনজিওসহ আমাদের সবার খাদ্যমজুদ ফুরিয়ে যাচ্ছে।
গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজায় ত্রাণ, ওষুধ, জ্বালানিসহ কোনো পণ্য গাজায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। প্রায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতির সময় যতটুকু খাবার মজুদ করা হয়েছিল, তার সামান্যই এখন অবশিষ্ট আছে।’
এদিকে গাজা যুদ্ধের অবসানের জন্য একটি চুক্তি করতে আগ্রহী হামাস। চুক্তিটিতে গাজায় থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের একসঙ্গে মুক্তি ও পাঁচ বছরের যুদ্ধবিরতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
হামাসের একজন কর্মকর্তা গতকাল শনিবার এসব কথা জানান।
আরএম/এসএন