ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে শোবিজাঙ্গনে নানা অনৈতিকতার অভিযোগ তুলে ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার ঘোষণা দেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী নিদ্রা দে নেহা। তিনি জানান, নির্মাতাদের কাছ থেকে অপেশাদার আচরণের শিকার হয়েছেন। যে কারণে আর শৈাবিজাঙ্গনে থাকতে চান না।
কিছুদিন আগেই জানা যায়, শাকিব খানের সঙ্গে তাণ্ডব সিনেমায় অভিনয় করছেন নেহা। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অভিনেত্রী নিজেই।
মূলত সে খবরটি প্রকাশ্যে আসার পরই সিনেমায় থেকে বাদ দেওয়া হয় নেহাকে। সিনেমাটিতে একদিনের শুটিংয়েও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। যে কারণে এভাবে বাদ দেওয়াটাকে অপেশাদার আচরণ বলে মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী।
সে সময় নেহা বলেন, ছবিটির নাম আমি আর বলতে চাইছি না। একদিন শুটিংও করেছি। আমার বাবা ক্যানসারের রোগী। চিকিৎসার জন্য তাকে মুম্বাই নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাজটির জন্য আমি সব বাদ দিই। ফ্লাইটের টিকিট বাতিল করে তাদের মে পর্যন্ত টানা দুই মাসের ডেট দিই। ঈদের আগে একদিন শুটিংও করি। এরমধ্যে এক পত্রিকার রিপোর্টার আমার কাছে নতুন কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে ছবিটির কথা বলি। এরপর নিউজ হলো। আমাকে নায়িকা বানিয়ে দেওয়া হলো। আমি তখনও নিউজটি দেখিনি। কিন্তু ছবি সংশ্লিষ্টরা মনে করলেন আমি নিউজ করিয়েছি। আমার সঙ্গে চেচামেচি করলেন। আমি বললাম, করাইনি। এরপর যা ঘটার ঘটল।
এই ঘটনার পর সম্প্রতি আবার একটি লাইভ নিয়ে হাজির হন নেহা। যেখানে কাঁদতে কাঁদতে তিনি জানান, বাবার শারীরিক অবস্থা ভালো না। চিকিৎসকরা দ্রুত দেশের বাইরে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। সেজন্য রওয়ানা হয়েছিলেন। তবে কাগজপত্র ঠিক নেই দাবি করে বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয় তাদের।
তবে সকল জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে আজ (রোববার) বাবাকে নিয়ে ভারতে রওয়ানা হবেন নেহা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী নিজেই।
তিনি বলেন, ‘এনওসির জটিলতার কারণে বাবাকে দেশের বাইরে নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে আমাদের সমস্যার মোটামুটি সমাধান হয়েছে। আজ বাবাকে নিয়ে রওয়ানা হবো।’
এর আগে গতকাল বিকেলে নেহা নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে আসেন। সেখানে তিনি জানান, তার সরকারি কর্মকর্তা বাবার এনওসির (নো অবজেকশন লেটার) মেয়াদ ছিল না। সেজন্য তাদের আটকে দেওয়া হয়েছিল।
ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘আমরা এর আগে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলাম। তখন হাফ ডান হয়। সেসময় এনওসি নেওয়া হয়েছিল। এবার ব্যাংকে আবার এনওসি চাইলে তারা জানান, আপনার তো এনওসি এই পারপাসে নেওয়া আছে, আর প্রয়োজন নেই। কিন্তু এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ সেটা মানতে নারাজ। তারা নানান রুলসের কথা শোনাচ্ছে। অথচ পরশুদিন আমার বাবার ট্রিটমেন্টের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া। বাবার একদম লাস্ট স্টেজ। আমি জানি না কী ঘটবে।’
২০২০ সালের ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ প্রতিযোগী নিদ্রা দে নেহা মডেলিং দিয়েই ক্যারিয়ার শুরু করেন। বিজ্ঞাপন, নাটক, ওটিটির গণ্ডি পেরিয়ে নাম লিখিয়েছেন সিনেমায়ও। গত বছর মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত সিনেমা ‘শরতের জবা’।
এফপি/টিএ