ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও এলাকায় চাঁদা না পেয়ে পোশাক কারখানার এক কর্মকর্তাকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল ও যুবদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে চান্দগাঁওয়ের বিসিক শিল্প এলাকার আজিম গ্রুপের কারখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শফিউল আলম আজিম গ্রুপ গার্মেন্টসের সিনিয়র সুপারভাইজার। ঘটনার পর তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।
এ ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় একটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী শফিউল। এতে তিনি উল্লেখ করেন, শনিবার রাত ১০টার দিকে বাসায় যাওয়ার পথে রাস্তার ওপর থেকে সোহেলের নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন আমাকে টেনে হিঁচড়ে সিএনজি অটোরিকশায় ওঠায়। সেখান থেকে চান্দগাঁও থানাধীন সিঅ্যান্ডবি টেকবাজার রেললাইনের সামনে নামিয়ে একটি অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গায় নিয়ে যায়।
একপর্যায়ে তারা আমাকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে বিষয়টি মোবাইল ফোনে আমার পরিবারকে জানায়। পরিবারের সদস্যরা চান্দগাঁও থানায় অবহিত করলে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে। এর আগে অপহরণকারীরা পুলিশের অবস্থান টের পেরে কয়েকটি ব্ল্যাংক স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক আমার স্বাক্ষর নিয়ে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীর ছেলে একটি জাতীয় দৈনিকে ঢাকায় কর্মরত সাংবাদিক আমজাদ হোসাইন বলেন, বাবা একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। চাঁদার জন্য গতকাল রাতে তাকে তুলে নিয়ে যায়। একটি ভুয়া অভিযোগে কয়েকদিন ধরে তাকে বিরক্ত করছিল যুবদল নেতা সোহেল ও ছাত্রদল নেতা আলফাজ।
এ বিষয়ে দু’দিন আগে কেন্দ্রীয় ও মহানগর ছাত্রদল নেতাদের জানালেও কোনো কাজ হয়নি। শনিবার রাতে তারা তুলে নিয়ে চাঁদা দাবি করে। এর আগেও একবার তুলে নিয়ে দেড় লাখ টাকা দাবি করে। বলেছে, না পারলে ৮০ হাজার টাকা হলেও দিতে। তারও আগে বাবার কাছ থেকে বিএনপির পরিচয়ে ৭০ হাজার টাকা চাঁদা নেওয়া হয়। তবে বিষয়টি জানতে পেরে রাতেই চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির আমাকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন বলেন, পুলিশের দ্রুত অভিযানে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে। সোহেল নামের একজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সাইফুল আলমকে শোকজ করা হয়েছে। চাঁদা দাবির বিষয়টি তাকে কেন্দ্র থেকে অবহিত করলেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তাকে শোকজ করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
এমআর/টিএ