গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে সরকারের অধীনে কার্যকর সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেন, যে সমস্ত সংস্কারগুলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হবে, সেগুলো এই সরকারের অধীনে বাস্তবায়ন করতে হবে। নূর আরও বলেন, সংস্কারের ক্ষেত্রে ব্যক্তি, দল এবং গোষ্ঠীর স্বার্থের চেয়ে জাতীয় স্বার্থ ও দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য কমিশনের কাছে আবেদন করেছেন।
নূর দাবি করেন, গত ১৬ বছরে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমন ছিল যে, জনগণ ও আন্দোলনকারীরা অনেক কিছু করতে পারেননি। তবে তিনি উল্লেখ করেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে, যা দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ বাংলাদেশের ভবিষ্যতের অগ্রযাত্রার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে কাজ করবে।
নূর আরও বলেন, গত ১৬ বছরে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের অবমাননা হয়েছে, এবং তিনি চান যে, ভবিষ্যতে কোনো শাসক যেন এমন পথে না যায়, যা নাগরিকদের নিপীড়ন এবং দেশের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। তিনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে কার্যকর সংস্কার বাস্তবায়ন করার আশা প্রকাশ করেন।
জানা গেছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ১২৭টি নিয়ে একমত, ১৫টি নিয়ে দ্বিমত, এবং ২৩টি প্রস্তাব আংশিকভাবে একমত হয়েছে বলে লিখিত মতামত প্রদান করা হয়েছে।
এসএস/এসএন