ছবি: সংগৃহীত
জিম্বাবুয়ের কাছে সিলেট টেস্টে হারার পর সমালোচনার মুখে পড়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তাই স্বাভাবিকভাবেই বাদ যাননি তাইজুল ইসলামও। সামাজিক মাধ্যমে হওয়া সমালোচনার বিষয়ে আজ তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল।উত্তরটা চট্টগ্রাম টেস্টের বোলিংয়ের মতো দিলেন তাইজুল।
ম্যাচ শেষে সমালোচকদের ক্রিকেট জ্ঞান নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বাঁহাতি স্পিনার বলেছেন, ‘এতগুলো টেস্ট (৫৩) খেলার পর আলহামদুলিল্লাহ যতগুলো উইকেট হয়েছে, একটা ম্যাচ দেখে যারা সমালোচনা করে আমার মনে হয় না তারা খেলা বোঝে।’
সিলেটে না পারলেও আজ তাইজুলের দুর্দান্ত বোলিংয়েই দিন শেষে স্বস্তি পেয়েছে বাংলাদেশ। তাই চট্টগ্রামে দলকে সহায়তা করতে পেরে ভালো লাগছে বলে জানিয়েছেন তাইজুল।
তিনি বলেছেন,‘না, স্যাটিসফ্যাকশনের ব্যাপার অবশ্যই থাকে। একটা প্লেয়ার যখন ৫০টা টেস্ট খেলে ফেলে, সিলেটে আমি যেভাবে বোলিং করেছি, একটা প্লেয়ারের জন্য ভালো জিনিস না, এতগুলো টেস্ট খেলার পর এরকম বোলিং। এখানে করতে পেরেছি এটা ভালো লাগার বিষয়। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে দলকে আমি সাহায্য করতে পেরেছি।
আজ দ্বিতীয় টেস্টে দারুণ ব্যাটিং করছিল জিম্বাবুয়ে। একটা সময় মনে হচ্ছিল প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রই করতে যাচ্ছে। তবে সেই সম্ভাবনা মিইয়ে দিয়েছেন তাইজুল। শেষ সেশনে সতীর্থদের সঙ্গী করে প্রতিপক্ষেদের ৭ উইকেট তুলে নিয়ে। নিজে পেয়েছেন ক্যারিয়ারে ১৬তম বারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট।রান খরচ করেছেন ৪৪। তাতে দিন শেষে ৯ উইকেটে ২২৭ রান করেছে জিম্বাবুয়ে।
ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার পথে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন তাইজুল। হ্যাটট্রিক না পাওয়ায় আফসোস আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ৩৩ বছর বয়সী স্পিনার বলেছেন, ‘হ্যাটট্রিক আসলে সবসময় সুযোগ আসে না। একটু খারাপ লাগতে পারে। আলহামদুলিল্লাহ দলকে সাহায্য করতে পারছি।’
এমআর/টিএ