ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও চট্টগ্রামে আপাতত রোদের দাপট অব্যাহত। সেই রোদের তাপে নাকাল বাংলাদেশের বোলারদের ওপর দারুণ চাপ সৃষ্টি করেছেন জিম্বাবুয়ের দুই ব্যাটার নিক ওয়েলস ও শন উইলিয়ামস। দুর্দান্ত এক জুটিতে তারা জায়গা করে নিয়েছেন রেকর্ড বইয়েও।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান। ক্রিজে রয়েছেন ৫৫ রানে উইলিয়ামস এবং ৫৪ রানে ওয়েলস।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান চৌধুরী স্টেডিয়ামে সকাল থেকেই ছিল জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের আধিপত্য। মাঝপথে অভিষিক্ত তানজিম হাসান সাকিব ফিরিয়েছেন ব্রায়ান বেনেটকে এবং তাইজুল ইসলাম ফিরিয়েছেন বেন কারেনকে। তবে এরপর আর বিশেষ কিছু করতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা; জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররাই ছড়ি ঘুরিয়েছেন পুরো সেশন জুড়ে।
লাঞ্চের আগে বাংলাদেশের সান্ত্বনা দুই উইকেট
দলীয় ৭২ রানে যখন দ্বিতীয় উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে, তখন ক্রিজে আসেন শন উইলিয়ামস। এরপর নিক ওয়েলসকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেন প্রতিরোধ। দুইজনই তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি এবং গড়েছেন ৮৯ রানের মূল্যবান জুটি। যা জায়গা করে নিয়েছে দ্বিপাক্ষিক টেস্ট রেকর্ডের তালিকায়।
এটি বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে জিম্বাবুয়ের তৃতীয় উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি। বিশেষ করে বাংলাদেশের মাটিতে তৃতীয় উইকেটের জন্য এটিই এখন সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ। এর আগে, ২০১৪ সালে খুলনায় ব্রেন্ডন টেইলর ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজা গড়েছিলেন ৬৭ রানের জুটি।
এর পাশাপাশি, ২০১১ সালে হারারে টেস্টে উইলিয়ামস ও ওয়েলসের ব্যাট থেকে এসেছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ তৃতীয় উইকেটের ১৪২ রানের জুটি।
লাঞ্চের আগে বাংলাদেশের দুই সাফল্যের গল্প: তানজিম হাসান সাকিব অফসাইডের বাইরে থাকা বলে কাট করতে গিয়ে বেনেটকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন। ততক্ষণে ওপেনিং জুটিতে আসে ৪১ রান। এরপর তাইজুল ফেরান ওপেনার বেন কারেনকে, যিনি ৫০ বলে ২১ রান করেছিলেন।
মাঝখানে অবশ্য নিক ওয়েলস একটি জীবন পেয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজের বলে, তবে এরপর আর কোনো সুযোগ দেননি ওয়েলস এবং উইলিয়ামস। দাপটের সঙ্গেই চালিয়ে যাচ্ছেন নিজেদের ইনিংস।
এসএস/এসএন