ছবি: সংগৃহীত
মালদ্বীপ ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ দেশটিতে এক বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। যেখানে ৫০ জনেরও বেশি প্রবাসী শ্রমিককে আটক করা হয়েছে।
গত ২৪ এপ্রিল ইমিগ্রেশন বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, পুলিশের সহায়তায় রাজধানী মালে সংলগ্ন ধুভাফারুতে যৌথ টাস্কফোর্সের মাধ্যমে এই বিশেষ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে কাগজপত্র সঠিক না থাকায় ৫০ জনের বেশি অনিয়মিত প্রবাসী কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দিনব্যাপী এই অভিযানে শতাধিক প্রবাসী কর্মীকে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে, তদন্তের স্বার্থে আটককৃতদের জাতীয়তা প্রকাশ করা হয়নি। মালদ্বীপ সরকার জানিয়েছে, ‘অপারেশন কুরাঙ্গি’ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে অনিয়মিত অভিবাসনের একটি স্থায়ী সমাধান হবে।
উল্লেখ্য, অভিবাসন সুরক্ষা নীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০২৩ সাল থেকে অনিয়মিত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি প্রবাসীকে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ‘অপারেশন কুরাঙ্গি’র চলমান অভিযান থেকে বাঁচতে অনেক অবৈধ প্রবাসী রাজধানী ছেড়ে বিভিন্ন দ্বীপে আশ্রয় নেওয়ায় ইমিগ্রেশন বিভাগ দ্বীপগুলোতেও অভিযান জোরদার করেছে।
মালদ্বীপে কর্মরত প্রবাসীদের বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহের জন্য বর্তমানে একটি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয় গত ১৯ মার্চ জানায়, ইতোমধ্যে এক লাখের বেশি অভিবাসীর বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহ করা হয়েছে। যেসব বিদেশী কর্মী এখনও এই তথ্য প্রদান করেননি, তাদেরকে চলতি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বায়োমেট্রিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হলে, সেই কর্মীদের বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এসএম