পহেলগামে প্রাণঘাতী জঙ্গি হামলার পর ভারত যে সামরিক প্রত্যাঘাত করবে, তা প্রায় নিশ্চিত বলেই মনে করছে পাকিস্তান।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) নিজের উদ্বেগের কথা প্রকাশ্যে আনলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর ভয়াবহ জঙ্গি হামলার জেরে প্রতিবেশী ভারতের পক্ষ থেকে সামরিক প্রতিক্রিয়া আসন্ন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসিফ আরও বলেন, “আমরাও আমাদের বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতেই হয়।” যদিও কী সেই কৌশল, তা তিনি খোলসা করেননি।
তার দাবি, ভারতের হুঁশিয়ারি ক্রমাগত বাড়ছে এবং পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যেই সরকারকে ভারতীয় হামলার সম্ভাবনা সম্পর্কে অবহিত করেছে। তবে কেন তিনি ভারতের দিক থেকে হামলা অনিবার্য বলে মনে করছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
সম্প্রতি পাকিস্তানের কিছু রাজনৈতিক নেতা পরমাণু হামলার হুমকি দিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গে খাজা আসিফ বলেন, “পাকিস্তান বাহিনী উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। শুধুমাত্র আমাদের অস্তিত্বের জন্য সরাসরি হুমকি তৈরি হলে তবেই আমরা পারমাণবিক অস্ত্রের ভাণ্ডার ব্যবহার করব।”
উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০১৬ সালে উরির সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানি ভূখণ্ডে ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। ২০১৯ সালে পুলওয়ামার নৃশংস হামলার পরে ভারত আকাশপথে বালাকোটে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে হামলা চালায়। এবার পহেলগামে ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পর ফের একই পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই আতঙ্কে কাঁপছে ইসলামাবাদ, তা স্পষ্ট পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে।