ছবি: সংগৃহীত
‘ছোট প্যাকেট বড় ধামাকা’-১৪ বছর ৩৩ দিন বয়সী বৈভব সূর্যবংশীর তাণ্ডব দেখে বলাই যায় কথাটা।
আইপিএলে সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঝড় তুলে নতুন ইতিহাস গড়লেন রাজস্থান রয়্যালসের এই বিস্ময় বালক। গুজরাট টাইটানসের ২০৯ রানের চ্যালেঞ্জে ভড়কে না গিয়ে শাসন করলেন রশিদ খান, মোহাম্মদ সিরাজ, ইশান্ত শর্মাদের মতো তারকা বোলারদের।
ইনিংসের তৃতীয় বলে মেরেছিলেন ছক্কা। ইশান্ত শর্মার করা চতুর্থ ওভারে আসে ২৮ রান, এর ২৬ এসেছে বৈভবের ব্যাট থেকে। ফিফটি করেন ১৭ বলে, যা আইপিএলের এ মৌসুমে দ্রুততমও।
করিম জানাতের করা ১০ম ওভারে একাই ৩০ রান নেন বৈভব। পরের ওভারেই রশিদ খানকে ছক্কা মেরে করেন আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি। ৩৫ বলে পা রাখেন সেঞ্চুরির মাইলফলকে। ২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৩০ বলে ক্রিস গেইলের সেঞ্চুরিটাই আইপিএলের দ্রুততম।
বৈভবের ৩৮ বলে ৭ বাউন্ডারি ১১ ছক্কায় ১০১ রানের ইনিংসে ভর করে ২৫ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের জয় পায় রাজস্থান। যশ্বসী জয়সওয়াল অপরাজিত ছিলেন ৪০ বলে ৭০ রানে। বৈভবের সঙ্গে উদ্বোধনী উইকেটে ১৬৬ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি। তাতে প্লে-অফ স্বপ্ন টিকে রইল রাজস্থানের।
বৈভবের ইনিংসটি দেখে যুবরাজ সিং অনেকটা ইয়ান বিশপের সুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘১৪ বছর বয়সে তুমি কী করছ! পলক না ফেলে দুনিয়ার সেরা বোলার নিয়ে ছেলেখেলা করলে। বৈভব সূর্যবংশী-নামটা মনে রেখো। ভবিষ্যত প্রজন্মকে নিয়ে আমি গর্বিত।’’
গেইলের নজির ভাঙতে না পারলেও বৈভব ভেঙেছেন একাধিক রেকর্ড। বৈভব এখন আইপিএলের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান। ২০০৯ সালে ১৯ বছর ২৫৩ দিন বয়সে সেঞ্চুরি করেছিলেন মনীশ পাণ্ডে।
ছেলেদের টি–টোয়েন্টিতে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরির রেকর্ডও এখন তার। ২০১৩ সালে সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে ১৮ বছর ১১৮ দিন বয়সে সেঞ্চুরি করেছিলেন ভিজয় জোল। তার ১১টি ছক্কা আইপিএলে কোনো রাজস্থান ব্যাটারের রেকর্ড। আগের ১০ ছক্কার রেকর্ড ছিল সঞ্জু স্যামসনের।
এসএম