ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সামনে ৪ দিন ধরে চলমান আন্দোলনে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। এতে ডিএসসিসি অচল হয়ে পড়েছে। চতুর্থ দিনের মতো আজ রবিবারও নগর ভবনের সামনে আন্দোলন করেছেন একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। তাদের আন্দোলনে স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে এবং নাগরিক সেবা বন্ধ রয়েছে।
রবিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় পরবর্তী আইনানুগ ও দাপ্তরিক করণীয় ঠিক করবে মহামান্য উচ্চ আদালতে দায়েরকৃত রিট পিটিশন নং ৮১৩৭/২০২৫ মামলার রায়ের আদেশ প্রাপ্তির পর। ওই আদেশে মন্ত্রণালয়ের প্রতি কোনো নির্দেশনা থাকলে তার প্রতিপালন করা হবে। সুনির্দিষ্ট আইনানুগ পদ্ধতি অনুসরণ করে এবং মেয়াদ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন ও আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত প্রাপ্তির পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এতে আরো বলা হয়, গত ২৮ এপ্রিল আলোচিত রায়ের বিষয়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও অসঙ্গতি উল্লেখ করে এবং ইশরাক হোসেনের শপথ আয়োজন করা থেকে বিরত থাকতে স্থানীয় সরকার বিভাগকে অনুরোধ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। পরবর্তীতে মো. মামুনুর রশিদ নির্বাচনী মামলা নং ১৫/২০২০ এ প্রদত্ত বিজ্ঞ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের ২৭ মার্চ ২০২৫ তারিখের রায় ও ডিক্রি এবং নির্বাচন কমিশনের ২৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখের জারিকৃত সংশোধিত গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করেন। ওই রিট মামলায় ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানো থেকে বিরত থাকতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতি এবং প্রতারণামূলক রায় প্রদানের জন্য নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইন, বিচার ও সংসদ মন্ত্রণালয়ের প্রতি নির্দেশনা প্রার্থনা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহামান্য হাইকোর্টে রিট এবং মামলা বিচারাধীন অবস্থায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী এমন আন্দোলন আদালতের প্রতি অনাস্থা অথবা অবমাননার শামিল।
নাগরিক সেবা ব্যহত ও অচলাবস্থা দূর করতে আন্দোলনকারী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের প্রতি স্থানীয় সরকার বিভাগের উদাত্ত আহ্বান।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৭ আগস্ট স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইনে সংশোধনী এনে প্রশাসক নিয়োগের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং ১৯ আগস্ট ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সামিগ্রক বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের আপিল দায়ের না করার সিদ্ধান্ত, মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত রিট পিটিশন এবং স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯-এর ৬ ধারা বিবেচনাক্রমে স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণে কোনো আইনগত জটিলতা আছে কি না, এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ গত ১৫ মে পত্র প্রেরণ করেছে।
টিকে/টিএ