প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ শান্তির সংস্কৃতি, সহনশীলতা এবং মানবিকতার চর্চায় বিশ্বাসী। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের অব্যাহত অংশগ্রহণ বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতীক।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘ভবিষ্যতেও আমাদের শান্তিরক্ষীরা তাদের পেশাগত দক্ষতা, সাহসিকতা, অনন্য সাধারণ মানবীয় গুণাবলি, আত্মত্যাগ ও নিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে সুপরিচিত করবেন।’
‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৫’ উপলক্ষ্যে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত সকল শান্তিরক্ষীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বিশেষভাবে স্মরণ করি কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মোৎসর্গকারী সকল শান্তিরক্ষীকে, যাঁদের আত্মত্যাগ বিশ্বশান্তি রক্ষার অগ্রযাত্রাকে মহিমান্বিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘গত জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থান এবং পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অভিজ্ঞ সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের সদস্যগণ সংঘাত প্রতিরোধ, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা, মানবাধিকার নিশ্চিতকরণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় যুদ্ধপীড়িত ও সংঘাতময় অঞ্চলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। ১৯৮৮ সালে সর্বপ্রথম শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা বাংলাদেশ বর্তমানে সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। আমাদের শান্তিরক্ষীরা সংঘাতময় বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও জরুরি মানবিক সহায়তা প্রদানে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের কর্মদক্ষতা ও নিষ্ঠা যুদ্ধপীড়িত সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের মর্যাদাকে আরও সমুন্নত করেছে।
তিনি ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৫’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।
এফপি/ এসএন