নিউ ইয়র্কের ঝাঁ চকচকে রাত। শহরের কেন্দ্রস্থলে এক পুরনো দুর্গের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন এক প্রেমিক। হাতে আংটি, চোখে আবেগ, আর হৃদয়ের গভীর থেকে উঠে আসা একটি প্রশ্ন—তুমি কি আমার জীবনসঙ্গিনী হবে? এমন দৃশ্য যেন সরাসরি কোনও সিনেমার পর্দা থেকে উঠে আসা। কিন্তু এই গল্প বাস্তব, আর এই মুহূর্তের কেন্দ্রে রয়েছেন অনশুলা কাপুর ও রোহন ঠক্কর।
বলিউড প্রযোজক বনি কাপুরের বড় মেয়ে অনশুলা বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নিজের বাগদানের কথা সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নেন। ভারতীয় সময় অনুযায়ী গভীর রাত, নিউ ইয়র্কে তখন মঙ্গলবার। সেই নির্জন রাতে রোমাঞ্চে ভরা আবহে রোহনের প্রেমপ্রস্তাবে থমকে গেল অনশুলার জীবন। সেই মুহূর্তের ছবি ও অনুভব নিজেই লেখেন তিনি—“জীবন কোনও রূপকথা তো নয়... কিন্তু তখন যেন সব থেমে গিয়েছিল। তিন বছর পর প্রিয় শহরে ফিরে সেই দুর্গের সামনেই রোহন হাঁটু মুড়ে বসে। আর আমি শুধু তাকিয়েই ছিলাম।”
বাগদানের সময় অনশুলার অনামিকায় ঝলমল করছিল আংটি। সেই মুহূর্তে পাশে ছিলেন অর্জুন কাপুরও। বোনের জীবনের বিশেষ দিনে তিনি শুধু ভাই নন, ছিলেন এক অভিভাবক, এক সাক্ষী। তারপর ছিল হইহুল্লোড়, দেদার খাওয়া দাওয়া—পিৎজ়া, পানীয় আর অকৃত্রিম আনন্দে পরিপূর্ণ এক রাত্রি।
অনশুলা আরও জানিয়েছেন, ২০২২ সালে রোহনের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল। সেই আলাপ একদিন পরিণত হবে আজীবনের বন্ধনে—তখন তিনি ভাবেননি। তবে আজ বুঝছেন, ‘প্রিয় বন্ধু’র হাত ধরে জীবন কেটে যাবে, এমন ভরসা পাওয়া বড় সুখের।
এখন বলিউডে জোর গুঞ্জন—বনি কাপুরের বাড়িতে এবার বাজতে চলেছে বিয়ের সানাই। আর অনশুলার চোখে-মুখে স্পষ্ট সেই আনন্দের ছাপ। প্রেম, পারিবারিক সান্নিধ্য আর ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি মিলিয়ে তাঁদের গল্প যেন হয়ে উঠেছে এক নিখাদ রূপকথা।
এসএন