বিশ্বখ্যাত ব্রিটিশ ফুটবল এজেন্ট জনাথন বার্নেটের বিরুদ্ধে ‘জেন ডো’ (ছদ্মনাম) নামের এক নারী যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন। ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগে বলা হয়, বার্নেট ছয় বছর ধরে তাকে যৌনদাসী হিসেবে আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছেন।
গ্যারেথ বেল ও জ্যাক গ্রিলিশের মতো ফুটবল তারকাদের এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ৭৫ বছর বয়সী বার্নেট।
তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘এই অভিযোগগুলোর কোনো ভিত্তি নেই এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
এদিকে মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, জেন ডো ও বার্নেটের প্রথম পরিচয় ১৯৯০-এর দশকে লন্ডনে এক পেশাদার ক্রীড়াবিদের মাধ্যমে। পরে ২০১৭ সালে অনলাইনে তাদের আবার যোগাযোগ হয় এবং এরপর সরাসরি দেখা হয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি তার কিশোর সন্তানদের নিয়ে যুক্তরাজ্যে চলে যান।
তার স্থানান্তর ব্যয় বহন করে বার্নেটের সংস্থা সিএএ স্টেলার।
জেন ডো অভিযোগ করেন, যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর পরপরই বার্নেট তাকে তার ‘মালিক’ পরিচয় দিয়ে নিয়মিত যৌন নির্যাতন করা শুরু করেন।
জেন ডো বলেন, ‘আমি বুঝে গিয়েছিলাম, এমন এক হিংস্র মানুষের বিরুদ্ধে আমি অসহায়। মারধর কিংবা মৃত্যুর আশঙ্কায় আমি তার নির্দেশ মেনে চলতাম।
’
এই মামলায় বার্নেট ছাড়াও সিএএ, আইসিএম এবং স্টেলার গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, তারা ২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেন লক্ষ্য করেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। মামলায় দাবি করা হয়েছে, বার্নেট তার অফিসিয়াল ইমেইল অ্যাকাউন্ট থেকে ওই নারীকে ‘দাসী’ বলে উল্লেখ করতেন।
সিএএ জানিয়েছে, জেন ডোর আইনজীবীরা আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবি উত্থাপন করার পর তারা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রথম এই অভিযোগের কথা জানতে পারে।
সিএএর বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘জেন ডো কখনো সিএএ, আইসিএম বা স্টেলারের কর্মচারী, পরামর্শক বা ঠিকাদার ছিলেন না। তাদের সঙ্গে কোনো ব্যবসায়িক সম্পর্কও ছিল না।
অভিযোগের গুরুত্ব উপলব্ধি করে আমরা আইনি পরামর্শের মাধ্যমে তাকে যুক্তরাজ্যের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছি।’
উল্লেখ্য, জনাথন বার্নেট ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিএএ স্টেলার থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে ২০১৯ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিন বার্নেটকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ক্রীড়া এজেন্ট হিসেবে অভিহিত করে। ১৯৯৪ সালে লন্ডনভিত্তিক স্পোর্টস এজেন্সি স্টেলার গ্রুপ প্রতিষ্ঠাও করেন তিনি।
পিএ/টিএ