বাউল সংগীতের জীবন্ত কিংবদন্তি, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী ফরিদা পারভীন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
এরই মাঝে খবর ছড়িয়েছে, অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারছেন না ফরিদা পারভীন। সত্যি কী অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন ফরিদা পারভীন? এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন বরেণ্য এই শিল্পীর ছেলে ইমাম জাফর নোমানি।
নোমানি বলেন, ‘আপনারা অনেকই অবগত আছেন যে আমাদের আম্মা, কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন বেশ কিছুদিন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। আমরা নানা মাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি যে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তার নাম ব্যবহার করে তার চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অনুদান সংগ্রহের চেষ্টা করছে। তার চিকিৎসার জন্য কোনো ধরনের আর্থিক সহযোগিতার প্রয়োজন নেই এবং এ-ধরনের কোনো আবেদন আম্মা বা আমাদের পক্ষ থেকে করাও হয়নি। তার প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসা যথাযথভাবে চলছে, আলহামদুলিল্লাহ। সবাইকে এসকল প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’
নোমানি আরও যোগ করেন, ‘আম্মার (ফরিদা পারভীন) চিকিৎসা যতটা ভালোভাবে করা সম্ভব তা-ই চেষ্টা করা হচ্ছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়-সহ, বেশ কয়েকজন উপদেষ্টাবৃন্দ আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন, আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আম্মা অত্যন্ত সম্মানের সাথে সকল প্রকার অনুদান গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, তিনি চান সরকারি এইসকল অনুদান আর্থিকভাবে অসচ্ছল মানুষের কাজে আসুক।’
সবশষ নোমানি বলেন, ‘কিন্তু যেসকল পেজ ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফরিদা পারভীনের নামে যত্রতত্র অনুদান চেয়ে বেড়াচ্ছে, তারা কি বোঝে না এটা তার জন্য কতটা অসম্মানজনক?’
উল্লেখ্য, সংগীতাঙ্গনে অনন্য অবদান রাখা ফরিদা পারভীনের অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়লে ভক্ত ও সহশিল্পীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। সবাই তার সুস্থতা কামনায় প্রার্থনা করছেন।
লালন সংগীতের প্রচারে ফরিদার ভূমিকা অবিস্মরণীয়। তার গাওয়া ‘নারী আমার জানে দুঃখের ভাষা’, ‘তোমার বাঁশিতে’, ‘ভ্রমর কইও গিয়া’ প্রভৃতি গান মানুষের হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে।