ইতিহাস বদলে দিয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। এএফসি নারী এশিয়ান কাপে প্রথমবারের মত যোগ্যতা অর্জন করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন এই সাহসিনী ফুটবলাররা। আর মধ্যরাতের সংবর্ধনায় ধ্বনিত হয়েছে গর্ব। আর সেই গর্বের ইতিহাস পেছনে ফেলে এবার নতুন টার্গেট – মিশন অস্ট্রেলিয়া।
২০২৬ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এশিয়ান কাপের মূল পর্বের লড়াই। আর সেটাই এখন বাংলাদেশ নারী দলের প্রধান মিশন। ঐ টুর্নামেন্টের সেরা ছয়ের মধ্যে থাকলেই মিলতে পারে বিশ্বকাপের টিকিট। আর তাই এবার চোখ সেই বিশ্বমঞ্চে, যেখানে নতুন ইতিহাস লিখতেই উড়বে লাল-সবুজের পতাকা।
এর আগে ৬ জুলাই মধ্যরাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক আবেগঘন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নারী ফুটবল দলকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। খেলোয়াড়েরা অর্জন করেছেন দেশের জন্যে এক নতুন দিগন্ত। অনুষ্ঠানে বক্তারা ফুটবলারদের ঐতিহাসিক সাফল্য এবং অসীম কষ্টের প্রসংশা করেন।
বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেন, “ফুটবলাররা আপনারা অ্যামেজিং। আমি আপনাদের খেলা দেখেছি।” বিশেষভাবে তিনি ঋতু চাকমার প্রশংসা করে বলেন, এই মুহূর্তে ঋতু আমার শুধু ফেভারিট বিডি অ্যাথলেট না, পুরো ১৮ কোটি মানুষের প্রিয় অ্যাথলেট এন্ড আই থিংক ঋতু এই মুহূর্তে আমার ফেভারিট বিয়িং পারসনা।”
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের এই অরজঙ্কে কেবল ক্রীড়া সাফল্য হিসেবে না দেখে, এর সামাজিক প্রভাবকেও বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়। তিনি আরও বলেন, “আজকে আপনারা নতুন করে ইতিহাস দেখছেন এবং আমাদের সমাজের মন মানসিকতাকে আপনারা বদলানোর একটা যাত্রাতে এগিয়ে নিয়েছেন।” তার মতে, এই সাফল্য বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে শুধু একটি ফুটবলিং নেশন হিসেবে নয়, বরং 'নারীর সমতা’ এবং ‘নারীর ক্ষমতা'র একটি দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ।
আইআর/ টিএ