জাতীয় সংসদে নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবিতে রাজধানীতে র্যালি ও সমাবেশ করা হয়েছে। কর্মসূচি থেকে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন বাড়িয়ে ১০০ করাসহ নানা দাবি-দাওয়া তুলে ধরা হয়।
শনিবার (১২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ সমাবেশ হয়। পরে শহীদ মিনার থেকে পল্টন মোড় পর্যন্ত র্যালি করেন নারী নেত্রীরা। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, সংসদে নারীর সরাসরি নির্বাচনের দাবি মানুষের কাছে একদিন গ্রহণযোগ্যতা পাবে। কাউকে পেছনে রেখে গণতন্ত্র অগ্রসর করা যায় না। তাই নারীসমাজের দাবি- সংসদে নারীর এক-তৃতীয়াংশ আসন বাড়াতে হবে। সরাসরি নির্বাচন করতে হবে।
মহিলা পরিষদের সভাপতি বলেন, পশ্চাৎদপদ অংশকে এগিয়ে নিতে সুযোগ প্রয়োজন। নারীকে রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে নারী আন্দোলনের দাবিকে গুরুত্ব দিতে হবে। মানুষের কণ্ঠস্বরকে বুঝতে হবে।
ডা. ফওজিয়া মোসলেম আরও বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে নারীদের অবরুদ্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া নারী সমাজকে কোনো ভয়ভীতি দেখিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না। তারা নিজ অধিকার আদায়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকবে।
মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসন বৃদ্ধি এবং সরাসরি নির্বাচন আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি। বর্তমানে বিপুল সংখ্যক নারী রাজনীতিতে আসছেন। তারা সংসদে মনোনীত হয়ে আসলেও দল থেকে মনোনীত হয়ে আসেন। ফলে তারা তাদের রাজনৈতিক দলের আজ্ঞাবহ হয়ে থাকেন। আমাদের জোর দাবি, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নারীকে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে।
রাজনৈতিক দলের নারী নেত্রীদের মনোনয়নের মাধ্যমে সংসদ সদস্য হওয়ার পদ্ধতিকে প্রত্যাখান করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে ভাবতে হবে, তারা কীভাবে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন করবে, সমতা প্রতিষ্ঠা করবে। এ বিষয়ে কেবল রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিশ্রুতি দিলেই হবে না, বাস্তবায়ন করতে হবে।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহিলা পরিষদের আন্দোলন সম্পাদক রাবেয়া খাতুন শান্তি, নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি রীনা আহমেদ, ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেহানা ইউনূস, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও টঙ্গী জেলা সভাপতি আনোয়ারা বেগম, নারী শ্রমিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক সাহিদা পারভীন শিখা প্রমুখ।
এফপি/ টিএ/ টিকে