রাজধানীর পল্লবী থানাধীন মিরপুর ডিওএইচএস এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে ডাকাতির অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (২০ জুলাই) বিকেল ৩টায় মিরপুর ডিওএইচএসের ৭ নম্বর এভিনিউয়ের ১১ নম্বর রোডের ৮০৭ নম্বর বাসায় এই ডাকাতি হয়।
রাত ১১টায় পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, মিরপুর ডিএসএসের যে বাড়িটিতে ডাকাতি হয়েছে সেটি অবসরপ্রাপ্ত মেজর সাবের আলীর প্লট। ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন বোরহান নামের একজন। অবৈধ অস্ত্র রয়েছে এমন অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত লে. ইফতেখার (বিএ ৬২৮৭) ও অবসরপ্রাপ্ত কর্পোরেল মুকুলসহ পাঁচজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে প্রবেশ করেন।
সংশ্লিষ্টরা আরো জানায়, বাসায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে না পেয়ে ঘরের বিভিন্ন মূল্যবান মালামাল ব্যাগে ভরে নিয়ে যাচ্ছিলেন চক্রটি। এ সময় তাদেরকে তথ্য প্রদানকারী মিরপুর-১০-এর বাসিন্দা সোর্স হারুনুর রশিদ ঘটনাটিকে সন্দেহজনক মনে করেন। তিনি নিজে একটি মোটরসাইকেলযোগে লে. ইফতেখারের প্রাইভেট কারটির পিছু নেন এবং চিৎকার করে ‘ডাকাত যাচ্ছে’ বলে জনসাধারণকে অবহিত করেন। এরপর প্রাইভেটকারটি এনডিসি চেকপোস্টে পৌঁছানোর আগে অপর একটি প্রাইভেট কার সামনে থাকার কারণে তারা সেখানেই বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যক্তিদের সহায়তায় তাদেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা।
ঘটনাস্থলে জিজ্ঞাসাবাদে করপোরাল মুকুল জানান, মিরপুর-১০ নম্বরে এক চায়ের দোকানে হারুনুর রশিদের সাথে তার পরিচয় হয়। হারুনুর রশিদ জানান, একজন ব্যক্তির কাছে অবৈধ অস্ত্র আছে। তারই সূত্র ধরে ওই বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এছাড়াও লে. ইফতেখার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান নাসিরের (পিএনজি) পরিচালিত ‘জাস্টিস ফর কমরেডস’র একজন সক্রিয় সদস্য এবং নাসিরের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। করপোরাল মুকুল বিপৎগামী সেনাসদস্যদের গ্রুপ ‘সহযোদ্ধার’ সদস্য। জিজ্ঞাসাবাদে ইফতেখারের কাছ থেকে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
গ্রেফতারকালে তাদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল ফোন, ডায়মন্ড জুয়েলারি, স্বর্ণালঙ্কার, ল্যাপটপ, তিনটি ঘড়ি, প্রসাধনী সামগ্রী, কয়েক পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, হেডফোন সেট, পাসপোর্ট ও অন্যান্য ডকুমেন্টস জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ইউটি/টিএ