নেইমার ফিরে এসেছেন, কিন্তু পুরোনো নেইমার কি ফিরেছেন? ব্রাজিলিয়ান তারকার ফেরার রোমাঞ্চ ছড়ালেও মাঠে তার প্রভাব এখনো প্রশ্নবিদ্ধ। মিরাসলের কাছে তার ক্লাব সান্তোসের ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর হতাশা চেপে রাখতে পারলেন না তিনি। ম্যাচ শেষে এক সাংবাদিকের ফিটনেস-সংক্রান্ত প্রশ্নে নেইমার রীতিমতো খেপে ওঠেন- ‘আবারও এটা? আমি তো ৩০০ বার বলেছি!’
সান্তোসের হয়ে চার দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামেন নেইমার। আগের ম্যাচে ফ্লামেঙ্গোর বিপক্ষে একমাত্র গোল করে জয় এনে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মিরাসলের মাঠে সেই ধারাবাহিকতা দেখা যায়নি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সান্তোস ছিল মিরাসলের ছায়া হয়ে এবং নেইমার নিজেও ছিলেন নিষ্প্রভ।
‘আজ আমাদের পারফরম্যান্সে সবকিছুই অনুপস্থিত ছিল। ৩-০ ব্যবধানে হারার এটিই আসল কারণ। ফ্লামেঙ্গোর বিপক্ষে আমরা অন্তত ডিফেন্সে লড়াই করেছিলাম। কিন্তু আজ মিরাসল আমাদের চেয়ে প্রতিটি দিকেই এগিয়ে ছিল,’ - বলেন নেইমার।
ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে নেইমারের ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই তিনি ক্ষোভ উগরে দেন সাংবাদিকের ওপর। ‘আবারও ফিটনেস? আমি তো ৩০০ বার বলেছি!’
এমন প্রতিক্রিয়া নেইমারের হতাশা ও চাপের প্রতিচ্ছবি, বিশেষ করে যখন তার ফেরার পর দল এখনো অবনমন অঞ্চলের বাইরে উঠতে পারেনি।
নেইমার জানুয়ারিতে সান্তোসে স্বল্পমেয়াদি চুক্তিতে ফিরলেও দলীয় পারফরম্যান্স রীতিমতো হতাশাজনক। ১৪ ম্যাচে মাত্র ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা এখনও ব্রাজিলিয়ান সেরি আ'র অবনমন অঞ্চলে। নেইমার যদিও ডিসেম্বর পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করেছেন, কিন্তু দলের জন্য আশানুরূপ সাফল্য এখনো এনে দিতে পারেননি।
টানা ম্যাচের ভিড়ে সান্তোসের এখন আর সময় নেই অতীত ফিরে দেখার। ঘুরে দাঁড়াতে হলে চাই একমাত্র জিনিস-নিয়মিত ভালো পারফরম্যান্স। আর সেই নেতৃত্বে থাকতে হবে নেইমারকেই, যিনি তার দুই দফা সান্তোস ক্যারিয়ারে ইতোমধ্যেই ১৪১ গোল ও ৬৯টি অ্যাসিস্টে অংশ নিয়েছেন।
দলকে রক্ষা করতে এখন তাকে মাঠে যেমন উদাহরণ হতে হবে, তেমনি মনের চাপও সামলাতে হবে আরও পরিপক্বভাবে-না হলে হয়তো নেইমারের সান্তোস প্রত্যাবর্তনের গল্পটা হতাশার অধ্যায় হয়েই থেকে যাবে।
এমকে/টিএ