চলতি বছরের এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের অনিশ্চয়তা ঘিরে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সংস্থাটির মোট আয় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ১৮.৮ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি, যার একটি বড় অংশ নির্ভর করছে আইসিসি ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) থেকে পাওয়া অর্থের ওপর।
পিসিবির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র ভারতের 'হিন্দুস্থান টাইমস'-কে জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে আইসিসি থেকে প্রায় ২৫.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৭.৭ বিলিয়ন রুপি) আয় হবে বলে আশা করছে বোর্ড। একইসঙ্গে এশিয়া কাপ থেকে প্রায় ১.১৬ বিলিয়ন রুপি এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সিরিজ থেকে ৭.৭৭ মিলিয়ন রুপি আয়ের সম্ভাব্য হিসাব ধরা হয়েছে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক সম্পর্কের অবনতির কারণে এশিয়া কাপ আয়োজন অনিশ্চয়তায় পড়েছে। ভারতের পেহেলগামে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন বেড়েছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে টুর্নামেন্টটির ভাগ্যে।
অথচ আয়োজক দেশ হিসেবে ভারত থাকায় টুর্নামেন্টের পরিচালনার বিষয়ে আগে থেকেই নানা জটিলতা তৈরি হয়েছিল। এর মধ্যেই ২৪ জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য এসিসি সভায় ভারত, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তানসহ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধি অংশ নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে পিসিবির একটি সূত্র।
সূত্রটি আরও জানায়, ঢাকায় এসিসি সভার সময়সূচি চূড়ান্ত করতে গিয়ে পিসিবি প্রতিবন্ধকতায় পড়েছে। ভারত, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও ওমানসহ বেশ কিছু অ্যাসোসিয়েট সদস্য দেশ প্রতিনিধি পাঠাতে রাজি নয়।
চলমান অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে এশিয়া কাপ সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনাই এখন বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে এশিয়া কাপ বাতিল হলে পিসিবির রাজস্ব কাঠামোয় বড় ধাক্কা লাগবে, কারণ সংস্থাটির প্রধান আয় নির্ভর করছে আইসিসি এবং এশিয়া কাপ থেকে প্রাপ্ত অর্থের ওপর।
এদিকে পিসিবি বাজেটে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)-এর আসন্ন আসর থেকে ২.৫ বিলিয়ন রুপি আয় হবে বলে ধরা হয়েছে, কিন্তু এশিয়া কাপ বাতিল হলে সেই ঘাটতি পূরণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
সুতরাং, এশিয়া কাপের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে আসন্ন এসিসি সভা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে রাজনৈতিক টানাপোড়েন ও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অনীহার কারণে সেই বৈঠক সফলভাবে অনুষ্ঠিত হবে কি না, তা নিয়েও এখন শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
টিকে/