দীপিকা পাড়ুকোনের আট ঘণ্টার শিফটে কাজ করার দাবি নিয়ে মাস দুয়েক ধরেই ভারতীয় সিনেদুনিয়ায় শোরগোল। নতুন করে বলিউড বনাম দক্ষিণী সিনেইন্ডাস্ট্রির লড়াই মাথা চাড়া দিয়েছে! কারণ দক্ষিণী বিনোদুনিয়ার একাধিক ব্যক্তিত্ব দীপিকার শর্ত নিয়ে বাঁকা হেসে হেসেছে। সেই তালিকায় রশ্মিকা মন্দানাও রয়েছেন। তার ব্যতিক্রমও রয়েছে অবশ্য। যেমন মণিরত্নম বলিউড নায়িকার হয়ে ব্যাটিং করেছেন। দীপিকার দাবিতে আগেই সায় দিয়েছিলেন কাজল, অজয় দেবগন, সইফ আলি খান, রাধিকা আপ্তেরা। মা হিসেবে কাজের পাশাপাশি সন্তানকে সময় দেওয়াও যে গুরুত্বপূর্ণ সেকথা একবাক্যে তাঁরা মেনে নিয়েছেন। এবার দীপিকা পাড়ুকোনকে সমর্থন জানিয়েও যেন আক্ষেপের সুর বিদ্যা বালানের কণ্ঠে!
বিদ্যার মন্তব্য, “মায়েরা ঠিক কত ঘণ্টা কাজ করবেন, সেটা সত্যিই একটা আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে। কেউ যদি মা হিসেবে সময় বেঁধে কাজ করতে চান, সেটা একদম ন্যায্য দাবি। কারণ সদ্য মা হওয়া অভিনেত্রীদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের সময় নিয়ে শিথিলতা থাকা দরকার। প্রতিটি ইন্ডাস্ট্রিতেই বর্তমানে এমন ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাতে নতুন মায়েদের কাজের জগৎ থেকে আমরা হারিয়ে না ফেলি। আর সেই প্রেক্ষিতেই নারীদের কাজের সময়সীমা ফ্লেক্সিবল হওয়া উচিত।” এরপরই অভিনেত্রীর সংযোজন, “আমি মা হইনি বলে আমার অবশ্য ১২ ঘণ্টা কাজ করতে আপত্তি নেই। তাছাড়া আমি যে ধরনের সিনেমায় কাজ করি সেটা আট ঘণ্টায় শেষ করার মতো সামর্থ আমাদের নেই। আমি যেহেতু মা নই এবং পৃথিবীর সমস্ত সময় আমার হাতে রয়েছে, তাই বারো ঘণ্টার শিফটেই কাজ করি।” প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে প্রযোজক সিদ্ধার্থ রায় কাপুরের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন বিদ্যা বালান। তেরো বছরের দাম্পত্যে নিঃসন্তান হলেও কোনওদিন এপ্রসঙ্গে খোলামেলাভাবে আলোচনা করেননি অভিনেত্রী!

প্রসঙ্গত, ‘আট ঘণ্টার বেশি কাজ করতে পারব না’, সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গাকে শর্ত বেঁধে দেওয়ায় ‘স্পিরিট’ সিনেমা থেকে বাদ পড়েছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। তবে বিগ বাজেট দক্ষিণী সিনেমা হাতছাড়া হওয়ায় কোনও আক্ষেপ নেই অভিনেত্রীর! সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলিউডের পদ্মাবতী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কঠিন সময়ে মনের কথা শুনতেই অভ্যস্ত তিনি। আর একবার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললে, তার নড়চড় হয় না। পালটা দীপিকার বিরুদ্ধে অপেশাদারিত্বের অভিযোগ আনেন পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা। শুধু তাই নয়, অভিনেত্রীকে তাঁর জীবনদর্শন, নারীবাদ নিয়েও বিঁধেছিলেন ভাঙ্গা। তার পর থেকেই কাজের সময় নিয়ে বলিউড, দক্ষিণী সিনে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে জোর চর্চা!
এমকে/এসএন