যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য প্রবেশে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর অতি উচ্চহারে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ১ আগস্ট থেকে বর্ধিত এ উচ্চহারের শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা। এই তারিখ থেকেই নতুন শুল্কহার কার্যকরের সিদ্ধান্তে এখন পর্যন্ত অটল আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিকারক দেশগুলোকে তিনি আর কোনো অতিরিক্ত সময় বা গ্রেস পিরিয়ড দিতে রাজি নন বলে জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লাটনিক।
রোববার (২৭ জুলাই) ‘ফক্স নিউজ সানডে’-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লাটনিক স্পষ্ট ভাষায় বলেন, আর কোনো বর্ধিত সময় নয়, আর কোনো ছাড় নয়। ১ আগস্ট থেকে শুল্ক কার্যকর হবে। কাস্টমস অর্থ সংগ্রহ শুরু করবে এবং আমরা এগিয়ে যাব।
অবশ্য তিনি এও বলেছেন, এই শুল্ক কার্যকর হওয়ার পরও আলোচনার সুযোগ রাখতে আগ্রহী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইউরোপীয় দেশগুলোর বিষয়ে লাটনিক বলেন, তারা চায় একটা চুক্তি হোক, তবে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনিই এই আলোচনার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমরা কেবল আলোচনার মঞ্চ প্রস্তুত করেছি।
এ পর্যন্ত পাঁচটি দেশ মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছেছে। এই দেশগুলো হলো যুক্তরাজ্য, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও জাপান। এই দেশগুলোর ক্ষেত্রে যে শুল্ক আরোপ হয়েছে, তা বেশিরভাগ দেশের জন্য এপ্রিল থেকে প্রযোজ্য ১০ শতাংশ হার থেকেও বেশি। তবে, এগুলো ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাবিত কঠোর শুল্ক হারের চেয়ে অনেক কম, যা কোনো চুক্তি না হলে কার্যকর হতো।
এই শুল্ক কার্যক্রমের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক মুক্ত বাণিজ্য ব্যবস্থাকে নতুন করে গঠন করতে চায় এবং যেসব দেশ অন্যায্য বাণিজ্য চর্চায় যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে চায়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক কমাতে আলোচনার তৃতীয় দফা বৈঠকে অংশ নিতে সোমবার (২৮ জুলাই) দেশ ত্যাগ করছে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে থাকছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমানসহ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর আগে থেকে কার্যকর ১০ শতাংশ শুল্কের বাইরে অতিরিক্ত ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এমআর