দক্ষিণী চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা বিজয় সেতুপতি। সুপার ডিলাক্স, ৯৬, বিক্রম বেদা, এবং মহারাজা সিনেমায় ব্যতিক্রমী অভিনয়ের জন্য বেশ পরিচিত তিনি। এছাড়াও শাহরুখ খানের জাওয়ান সিনেমাতেও তার অভিনয় ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিল। তবে এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই অভিনেতার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন একজন ব্যবহারকারী। তার ওই পোস্ট ঘিরে ভারতজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
রাম্যা মোহন নামের এক নারী এক্সে একটি পোস্টে দাবি করেন, বিজয় সেতুপতি দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এক বিষাক্ত সংস্কৃতির অংশ।
তিনি বলেন, মাদক, ম্যানিপুলেশন, কাস্টিং কাউচ এবং দুর্বল অবস্থায় থাকা নারীদের শোষণ—এই সবকিছুই ইন্ডাস্ট্রির ‘নিয়মের’ আড়ালে চলে।
রাম্যা লিখেন:
‘কলিউডের মাদক ও কাস্টিং কাউচ কালচার মজার বিষয় নয়। এক মেয়েকে আমি চিনি, যিনি এখন মিডিয়ায় পরিচিত মুখ। তাকে এমন এক জগতে টেনে নেয়া হয়েছিল, যেটার জন্য সে কখনো প্রস্তুত ছিল না। এখন সে রিহ্যাবে আছে। মাদক, ম্যানিপুলেশন, আর এক্সপ্লয়টেশনকে নর্ম বানিয়ে ফেলা হয়েছে। সেতুপতি তাকে ‘কারাভ্যান ফেভার’-এর জন্য ২ লাখ টাকা এবং ‘ড্রাইভ’-এর জন্য ৫০ হাজার টাকা অফার করেছিলেন। অথচ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাধু সাজার অভিনয় করেন বিজয়। মেয়েটিকে বছরের পর বছর ব্যবহার করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন:
‘লোকজন সত্যটা বুঝতে চায় না। বরং উৎস খোঁজে বা ভিকটিমকে দোষারোপ করে। যখন মেয়েটির পরিবার তার ডায়েরি ও চ্যাট পড়ে পুরো ঘটনা জানতে পারে, তখন তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। এটা কোনো গল্প নয়। এটা ছিল তার জীবন, তার কষ্ট।’
এই পোস্ট ভাইরাল হবার পর, পরে রাম্যা তা মুছে ফেলেন এবং জানান, বন্ধুর গোপনীয়তা রক্ষা করতেই তিনি তা করেছেন।
এখনো পর্যন্ত বিজয় সেতুপতি এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি। উল্লেখ্য, এই অভিযোগগুলো এখনও প্রমাণিত নয়। কারণ, কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ, মামলা বা অভিযুক্ত ভিকটিমের পরিচয় প্রকাশ পায়নি।
এদিকে, ২০১৭ সালের একটি পুরনো সাক্ষাৎকার আবার আলোচনায় এসেছে যেখানে বিজয় সেতুপতি কাস্টিং কাউচ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা ঘৃণাজনক এবং একেবারে দুর্নীতিপূর্ণ মানসিকতার ফল’।
বিজয় সেতুপতি, যিনি ১৯৭৮ সালের ১৬ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন, ভক্তদের কাছে ‘মাক্কাল সেলভান’ (জনগণের সম্পদ) নামে পরিচিত। পেশাগতভাবে সফল এই অভিনেতা ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী জেসি ও দুই সন্তানের জনক।
সূত্র: বলিউড লাইফ, এনডিটিভি নিউজ।
এসএন