অভিনেত্রী নন্দিনী কাশ্যপের গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত সামিউল হক (২২) নামের করপোরেশনের এক কর্মচারী মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। এ ঘটনায় অভিনেত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজধানী থিয়েটারের রিহার্সেল ভেন্যু থেকে ফেরার সময় অভিনেত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৫ জুলাই মধ্যরাতে আসামের গোয়াহাটির কাহিলিপাড়া এলাকায় ঘটে দুর্ঘটনাটি। গুয়াহাটি পৌর করপোরেশনের কর্মচারী সামিউল হক স্ট্রিটলাইট মেরামত করছিলেন। এ সময় আসামের অভিনেত্রী নন্দিনীর গাড়ি না থেমে বরং ধাক্কা মারে সামিউল হককে। এতে গুরুতর আহত হন তিনি।
সামিউল হককে ধাক্কা দেয়ার পর অভিনেত্রী গাড়ি না থামিয়ে বরং দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। পরে দুর্ঘটনা প্রত্যক্ষকারী কয়েকজন তাড়া করে তাকে ধরেন এবং এ ব্যাপারে কথা বলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আহত সামিউল হককে প্রথমে গোয়াহাটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে অবস্থার অবনতি হওয়া অ্যাপোলোতে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
সেখানে কয়েকদিন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। গোয়াহাটির মেয়র মৃগেন সারানিয়া তার মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় গত ২৮ জুলাই দিসপুর থানায় প্রায় আট ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অভিনেত্রী নন্দিনীকে। এ সময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন তিনি এবং ঘটনাস্থল থেকে পালানোর কথাও অস্বীকার করেন। নন্দিনী জানান, তাৎক্ষণিক পরিস্থিতির তীব্রতা বুঝতে পারেননি এবং পরে ভুক্তভোগীর অবস্থা সম্পর্কে জেনেছেন।
তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তার প্রস্তাবও দেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ জানিয়েছে, এএস ০১এফএম ৯১৯৯ নম্বরের গাড়িটি তারা জব্দ করেছে এবং এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। কিন্তু ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ করেছে যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তারকা হওয়ার কারণে তদন্তে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। তারা শুধুই ন্যায়বিচার চান এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি তারকা হওয়ায় তাকে আইনের ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া উচিত নয়।
এসএন