ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেয়ার পর থেকেই একের পর এক ইনজুরিতে ভুগছেন লিওনেল মেসি। দলের সেরা তারকাকে ইনজুরিমুক্ত রাখতে তাকে মাঠে নামানোর ক্ষেত্রে বেশ হিসেবি ইন্টার মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাশচেরানো। তবে তাতেও কী আর ইনজুরিকে সবসময় ফাঁকি দেয়া যায়! ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলতে নামার মাত্র ১১ মিনিটের মাথায় মাঠ ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন মেসি।
রোববার (৩ আগস্ট) লিগস কাপে ক্লাব নিকাক্সাওয়ের বিপক্ষে খেলতে নেমে ইনজুরিতে পড়েছেন ইন্টার মায়ামির অধিনায়ক লিওনেল মেসি। চেজ স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হওয়ার মাত্র ১১ মিনিটের মাথায় মাঠ ছেড়ে সোজা সাজঘরে ফিরে যান এই আর্জেন্টাইন।
বল নিয়ে ড্রিবলিং করে নিকাক্সাওয়ের বক্সে ঢুকতে গেলে রাউল সানচেজ ও আলেক্সিস পেনার সঙ্গে সংঘর্ষ হয় মেসির। পড়ে গিয়ে যন্ত্রণাকাতর মেসির চেহারায় হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। মায়ামির এই অধিনায়ক একটু পরে উঠে দাঁড়িয়ে কয়েক মিনিট হাঁটার চেষ্টা করেন, কিন্তু অস্বস্তির কারণে চিকিৎসকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং মাঠ ছাড়েন।
ম্যাচের বাকি সময় মেসিকে ছাড়াই খেলতে হচ্ছে মায়ামিকে। মেসির বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছেন ফেদেরিকো রেডন্ডো।
ম্যাচের প্রথমার্ধ ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয়। ১২ মিনিটের মাথায় তেলাসকো সেগোভিয়ার গোলে এগিয়ে যায় ইন্টার মায়ামি। এরপর ১৭ মিনিটে ম্যাক্সিমিলিয়ানো ফ্যালকন লাল কার্ড দেখলে ১০জনের দলে পরিণত হয় মায়ামি। ৩৩ মিনিটে টমাস বাদালনির গোলে সমতায় ফেরে নেকাক্সা।
২০২৫ সালে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এটি ছিল মেসির ৩০তম ম্যাচ। এর মধ্যে এমএলএসের ম্যাচ ছাড়াও আছে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপ, ক্লাব বিশ্বকাপ, লিগস কাপের ম্যাচ। এমএলএসে এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১৮ গোল ও ৯টি অ্যাসিস্ট এসেছে মেসির পা থেকে।
কেএন/টিএ