বাংলা ছবির প্রেক্ষাগৃহ সংকট নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে বড় পদক্ষেপ নিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। আজ বৃহস্পতিবার সকালেই নবান্ন থেকে সরাসরি ডাক পান অভিনেত্রী। আনন্দবাজারের প্রতিবেদনের রেশ ধরেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে। ‘বেলা’ ছবির প্রচার শেষ করেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন ঋতুপর্ণা।
মুম্বই থেকে কলকাতায় পা রাখার পরপরই মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে ফোন যায় অভিনেত্রীর কাছে। ঋতুপর্ণা নিজেই জানান, “আজ সকালেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে সময় দেওয়া হয়েছে। আমি নবান্নে গিয়ে পুরো বিষয়টি তুলে ধরব।”
এই উদ্যোগ আসে এমন এক সময়ে, যখন টলিউড কার্যত দিশেহারা। বাংলা ছবির প্রতি প্রেক্ষাগৃহের বঞ্চনা, হিন্দি ছবির একচেটিয়া আধিপত্য নিয়ে ইতিমধ্যেই ফুঁসছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির কলাকুশলীরা। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, শ্রীকান্ত মোহতা, নিসপাল সিংহ রানে সহ বহু বিশিষ্ট মুখ সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন তাঁদের ক্ষোভ।
ঋতুপর্ণা আগেই জানিয়েছিলেন, কীভাবে এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রেক্ষাগৃহ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁর ছবি। প্রযোজক হতাশ হয়ে বলেছিলেন, “এইভাবে কি আর ছবি বানানো যায়?” এই সমস্যা যদি চলতেই থাকে, তবে বাইরের প্রযোজক-পরিচালকদের আগ্রহ হারিয়ে যাবে বাংলায় কাজ করার প্রতি — এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেন অভিনেত্রী।
বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘ধূমকেতু’ মুক্তি পাচ্ছে ১৪ অগস্ট। তার ঠিক পরদিনই আসছে হৃতিক রোশন ও কিয়ারা আডবাণী অভিনীত ‘ওয়ার ২’। অভিযোগ উঠেছে, হিন্দি ছবির পরিবেশকরা শর্ত দিচ্ছেন, যদি চারটি শো দেওয়া হয়, তবেই বাংলায় মুক্তি পাবে হিন্দি ছবি। অন্যথা নয়। একই সময়ে সিঙ্গল স্ক্রিনে বাংলা ছবিকে ঠাঁই দিতে রাজি নয় বলিউডের প্রভাবশালী পরিবেশকরা।
এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি আলোচনার উদ্যোগ নিঃসন্দেহে টলিউডের পক্ষে আশাব্যঞ্জক। বাংলা ছবির অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে এই বৈঠক কতটা পথ দেখাবে, তা সময় বলবে।
এসএন