একজন ফুটবলারের জন্য সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত মর্যাদার পুরস্কার ব্যালন ডি’অর। ইউরোপে আধিপত্যকালে যে পুরস্কার একে একে পাঁচ বার জিতেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। অথচ সে পুরস্কারকেই এখন ‘মনগড়া’ মনে হচ্ছে পর্তুগিজ তারকার।
১৯৫৬ সাল থেকে ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’ সেরা ফুটবলারদের ব্যালন ডি’অর দিয়ে আসছে। সেরাদের জন্য ফিফা কিংবা উয়েফার পুরস্কারের চেয়েও এখনো ব্যক্তিগত পর্যায়ে সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার মনে করা হয় এ ব্যালন ডি’অরকে।
প্রতি বছরের সেরা পারফরমারদের মধ্যে থেকে ফ্রান্স ফুটবল আর ফরাসি পত্রিকা লেকিপ-এর সাংবাদিকেরা মিলে তৈরি করেন ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা। এরপর শুরু হয় ভোট। যেখানে শীর্ষ ১০০ ফিফা র্যাঙ্কিং দেশের একজন করে সাংবাদিক ভোট দেন। প্রত্যেকে নিজের শীর্ষ-১০ ঠিক করেন—প্রথম স্থানে থাকা খেলোয়াড় পান ১৫ পয়েন্ট, দ্বিতীয় ১২, তৃতীয় ১০; এরপর ক্রমানুসারে ৮, ৭, ৫, ৪, ৩, ২ আর ১ পয়েন্ট। সব ভোট যোগ করে যিনি সর্বোচ্চ পয়েন্ট পান, তিনিই ব্যালন ডি’অর জেতেন।
তবে এমন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেরা ফুটবলার বাছাই করা হলেও গত বারের প্রসঙ্গ টেনে এনে সেটিকে ‘মনগড়া’ বলছেন রোনালদো।
‘স্পোর্ট টিভি পর্তুগাল’ এবার ব্যালন ডি’অরের সম্ভাব্য জয়ীর কথা জানতে চাইলে রোনালদো বলেন, ‘এটা আমার কাছে মনগড়া লাগে। কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। পুরস্কারটি (গত বছর) ভিনিসিউসের জেতা উচিত ছিল। অনেকবার আমার এটাই মনে হয়েছে এবং রাগ লেগেছে।’
২০০৮ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত; এ পুরস্কার মোট পাঁচ বার জিতেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এ সময়ে তার সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতো আর্জেন্টিনা ও সাবেক বার্সেলোনা তারকা লিওনেল মেসির সঙ্গে। আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী সবচেয়ে বেশি ৮ বার জিতেছেন এ পুরস্কার। সবশেষ ২০২৩ সালে এটি জিতেছেন তিনি।
এরপর টানা দ্বিতীয়বারের মতো সংক্ষিপ্ত তালিকাতেই জায়গা হয়নি মেসির। অন্যদিকে টানা তিন বছর তালিকাতে নেই রোনালদোর নাম। ইউরোপ ছেড়ে ২০২৩ সালে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল নাসরে যোগ দেন রোনালদো। একই বছর মেসিও ইউরোপের পাঠ চুকিয়ে পাড়ি দেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে।
এমআর/টিএ