নরসিংদীতে ২০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় মেহেদী হাসান ইমন নামে স্থানীয় এক কারখানার এক মালিককে পিটিয়ে ও প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শীর্ষ সন্ত্রাসী দোবাই এর বিরুদ্ধে। এ সময় সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নারী শ্রমিকসহ আরও চার জন আহত হয়েছে।
কারখানার মালিক মেহেদী হাসান ভূঁইয়া ইমন ব্যতীত বাকি চার আহত হলেন— ইমনের বাবা আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া, শ্রমিক সুজন, রমজান ও আছিয়া বেগম।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সদর উপজেলার টাওয়াদী এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা। আহত মেহেদী হাসান ভূঁইয়া ইমন নরসিংদী শহরতলীর টাওয়াদী এলাকার আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া'র ছেলে এবং নাবিলা টেক্সটাইল এর পরিচালক। অভিযুক্ত দোবাই দীর্ঘদিন যাবৎ নরসিংদী শহরের বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, ছিনতাই এবং জমিদখলসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না।
থানায় দেওয়া অভিযোগ ও কারখানা সূত্রে জানা গেছে, টাওয়াদী এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে শীর্ষ সন্ত্রাসী দোবাই ও সালামের ছেলে সন্ত্রাসী সাগর দীর্ঘদিন যাবৎ নাবিলা টেক্সটাইল এর মালিক মেহেদী হাসান ইমন এর কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। এরই জের ধরে সকালে দোবাই এর নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল টেক্সটাইল মিলে প্রবেশ করে কর্মরত শ্রমিকদের মারপিট করে বের করে দেয় এবং টেক্সটাইল মেশিনে লাগানো বিভিন্ন কাপড় ও সুতা কেটে কুচি কুচি করে ফেলে।
এসময় শ্রমিকরা সন্ত্রাসীদের বাধা প্রধান করলে তারা নারী শ্রমিক মালিকের বাবাসহ ৪ জনকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। এসময় প্রতিষ্ঠানের মালিক মেহেদী হাসান ইমন এসে তাদের বাধা প্রধান করলে তার উপর অতর্কীত হামলা চালায় এবং ছুরি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। এতে মেহেদী গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তার ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন দৌড়ে আসতে থাকলে সন্ত্রাসীরা যাবার সময় হত্যাসহ লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে নাবিলা টেক্সটাইল এর মালিক মেহেদী হাসান ইমন বলেন, “আমার কারখানা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। শ্রমিকরা ভয়ে কারখানায় আসছে না। তারা আমার কারখানার প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। আমাকে একা পেলে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। আমরা এখন নিরাপত্তা হীনতায় আছি। আমরা ব্যবসা করার পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।”
হামলার দৃশ্য সিসি টিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। ভিডিওতে দুইজন যুবককে ইমনকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করতে দেখা গেছে।
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, “খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অভিযোগও পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।”
ইউটি/টিএ