কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা রিদোয়ান আফ্রিদির ওপর হামলা ও মারপিটে অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
রিদোয়ান আফ্রিদি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে শাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটির সদস্য সচিব। তিনি অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আলমাস বলেন, বিকেলে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের খেলার মাঠে বসে ছিলেন আফ্রিদি। এ সময় ছাত্রদলের নেতা সংগ্রাম হোসেন, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শিমুল হোসেন ও তাদের লোকজন আফ্রিদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা ও মারপিট করে৷ এতে গুরুতর আহত হন তিনি। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাবেক সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আফ্রিদীর ওপর হামলা ও মারপিট করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সায়াদ ইসলাম শ্রেষ্ঠ বলেন, ছাত্রদলের নেতা সংগ্রাম, শিমুল ও তার লোকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আফ্রিদিকে বেধড়ক এলোপাতাড়ি মারপিট করেছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন। জড়িতদের শাস্তি চাই৷
এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা সংগ্রাম হোসেন ও শিমুলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোজাক্কির রহমান রাব্বি বলেন, এ ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে দেখা হচ্ছে। দলের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হোসেন ইমাম বলেন, আফ্রিদীর মাথায় গুরুতর আঘাত করা হয়েছে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক।
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ।
পিএ/টিকে