জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব মাহিন সরকার বলেছেন, প্রোপার গাইডেন্স না থাকলে এনসিপিকে ভুল পথে পরিচালনা করা সম্ভব।
তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদর থেকে জন্ম নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর একটা হলো এনসিপি। একমাত্র বলব না, কিন্তু প্রধান রাজনৈতিক দল। এনসিপিতে সম্ভবত প্রোপার গাইডেন্স অভাব রয়েছে।
যদি প্রোপার গাইডেন্স না থাকে তাহলে কিন্তু এই সংগঠনটিকে ভুল পথে পরিচালনা করাও সম্ভব।
সম্প্রতি একটি টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এনসিপি কি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে প্রশ্নের জবাবে মাহিন সরকার বলেন, ‘৫ আগস্ট পরবর্তী বিষয়গুলো আমরা অপ্রস্তুত অবস্থায় ফেস করেছি। এগুলোর জন্য খুব বেশি প্রস্তুতি ছিল সেরকম না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোট ১৫৮ জন সমন্বয়ক লিস্টেড ছিল। তাদের অনেকেই এখানে কোনোভাবেই যুক্ত ছিলেন না এবং তারা কিছু জানতেনও না যে কোথা থেকে কি সিদ্ধান্ত হচ্ছে। তো তাদের প্রত্যেকে যদি আমরা আলাদা আলাদা দায়িত্ব দিয়ে গাইড করতে পারতাম সেক্ষেত্রে কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে ব্যানারের যে মানটা সেটা থাকত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের জায়গা থেকে যে প্রতিকূলতা ফেস করার কথা তার চেয়ে অনেক বেশি প্রতিকূলতা ফেস করেছি।
একই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যারা শুভাকাঙ্ক্ষী এবং এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তারাও আমাদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত থাকেনি বা তাদেরকে রাখা যায়নি। এর ফলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্যানারটি এক বছরের মাথায় কিন্তু অকার্যকর এবং এটি বেশ সমালোচিত হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চ্যাপ্টার ক্লোজ। এখন আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টি গঠন করেছি।’
মাহিন সরকার বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদর থেকে জন্ম রাজনৈতিক দলগুলোর একটা হলো এনসিপি। একমাত্র বলব না কিন্তু প্রধান রাজনৈতিক দল। এনসিপিতে আসলে প্রোপার গাইডেন্সের সম্ভবত অভাব রয়েছে। যদি প্রোপার গাইডেন্স না থাকে তাহলে কিন্তু এই সংগঠনটিকে ভুল পথে পরিচালনা করাও সম্ভব। আশা করি সংগঠনটি বাংলাদেশের তরুণদের আগ্রহকে ক্যাশ করতে পারবে এবং সামনে তাদের ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল হবে ইনশাআল্লাহ।’
কেএন/টিকে