বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে নতুন দিগন্তের সূচনা হচ্ছে। সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর এবার ই-স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধীনে গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছে কাজও।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় ই-স্পোর্টসকে বিনোদনের বাইরে একটি সম্ভাবনাময় পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীবন ভূঁইয়া।
গত ১৩ জুলাই সরকার ই-স্পোর্টসকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রীড়াখাতের একটি স্বীকৃত শাখা হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর থেকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এই খাতের কাঠামো উন্নয়ন, নীতিমালা প্রণয়ন এবং অংশীজনদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মঙ্গলবারের মতবিনিময় সভায় ই-স্পোর্টস খাতের বিভিন্ন অংশীজন, গেমিং সংগঠন, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সভায় মূলত তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়:
ই-স্পোর্টস নীতিমালা প্রণয়ন: গেমিং সংক্রান্ত নিরাপত্তা, অংশগ্রহণের ন্যূনতম মানদণ্ড ও প্রতিযোগিতার কাঠামো নির্ধারণে একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ই-স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন গঠন: জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আওতায় আনুষ্ঠানিকভাবে একটি স্বতন্ত্র ও প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন গঠনের কাজ শুরু হয়েছে, যা ই-স্পোর্টসের সার্বিক উন্নয়ন, প্রতিযোগিতা ব্যবস্থাপনা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করবে।
সার্বিক রূপরেখা ও অংশীদারিত্ব: এ খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বে বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রতিযোগিতা আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
সভায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘ই-স্পোর্টস এখন শুধু বিনোদন নয়, এটি একটি সম্ভাবনাময় পেশা এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার মঞ্চ। আমাদের তরুণরা যাতে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে, সেই প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করতে হবে।’
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভবিষ্যতেও এ ধরনের মতবিনিময় সভা নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হবে এবং পর্যায়ক্রমে ই-স্পোর্টস সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনকে আলোচনায় সম্পৃক্ত করা হবে। বাংলাদেশের প্রযুক্তিপ্রেমী তরুণদের জন্য এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা ক্রীড়াক্ষেত্রে নতুন কর্মসংস্থান, আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ এবং প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়নের সম্ভাবনা বাড়াবে।