ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনী কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনের সঙ্গে সংলাপে বসবে কমিশন।
জাতীয় নির্বাচন ঘিরে ২৪টি কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ভোটগ্রহণ বা তফসিলের কোনো তারিখ এখনো নির্ধারণ করেনি সংস্থাটি। ইসির ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইসির কর্মপরিকল্পনাগুলোর মধ্যে অন্যতম অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ, যা সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে। শেষ হতে সময় লাগবে দেড় মাস।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে এরই মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের সম্পূরক খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যা চূড়ান্ত করা হবে ৩১ আগস্ট। আর জাতীয় নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩০ নভেম্বর। এরজন্য খসড়া প্রকাশ হবে ১ নভেম্বর।
নির্বাচনি আইবিধি বিষয়ে সব আইনগত বিধি ৩১ আগস্টের মধ্যে সংশোধনের প্রস্তাব ও প্রণয়ন। এছাড়া সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ আইন সংশোধন, ভোটার তালিকা আইন সংশোধন, সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র নীতিমালা ও ব্যবস্থাপনা চূড়ান্ত, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সংবাদিক নীতিমালা চূড়ান্ত, নির্বাচন পরিচালনা (সংশোধন) ২০২৫ প্রতীকসহ, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন ১৯৯১, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন ২০০৯ এগুলো আইন মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন আছে, যা ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করা হতে পারে।
রাজনৈতিক দল নিবন্ধন কার্যক্রম ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত হবে। সীমানা নির্ধারণ বিষয়ে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ আর ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জিআইএস ম্যাপ প্রস্তুত ও প্রকাশ করা হবে।
আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে রোজার আগে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সংক্রান্ত চিঠিও দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ভোটের তারিখের প্রায় দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন কমিশন সভায় আলোচনা শেষে জানানো হয়, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল দেবে ইসি।
নির্বাচনী রোডম্যাপের মধ্যে সংলাপ, মতবিনিময়, মিটিং, ব্রিফিং, প্রশিক্ষণ, মুদ্রণ, বাজেট বরাদ্দ, আইটিভিত্তিক প্রস্তুতি, প্রচারণা, সমন্বয় সেল, আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক থেকে যাবতীয় কর্মপরিকল্পনা মাথায় রেখে উল্লেখযোগ্য খাত ও বাস্তবায়ন সূচিসহ মোট ২৪টি কাজ স্থান পেয়েছে।
এসএস/এসএন