ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা আরও কঠিন করতে ব্রঙ্কো টেস্ট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এই পরীক্ষার আগে শুভমান গিল-জাসপ্রিত বুমরাহদের সতর্ক করে দিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এ অধিনায়কের মতে, ব্রঙ্কো টেস্ট ভয়ঙ্কর। তিনি যেন বুঝিয়ে দিলেন, ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের জন্য সামনে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে।
সম্প্রতি ভারতীয় ক্রিকেটারদের ফিটনেসের মান বৃদ্ধি করার জন্য নতুন এই পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডি ভিলিয়ার্সের অবশ্য আগে থেকেই ব্রঙ্কো টেস্ট নিয়ে অভিজ্ঞতা আছে।
এটিকে কঠিনতম পরীক্ষাগুলোর মধ্যে একটা বলেছেন তিনি। ইউটিউব চ্যানেলে ডি ভিলিয়ার্স বলেন, ১৬ বছর বয়স থেকে তিনি এই পরীক্ষা দিয়ে আসছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় এটিকে ‘স্প্রিন্ট রিপিট এবিলিটি টেস্ট’ বলে।
ভারতের নতুন স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং কোচ অ্যাড্রিয়ান লে রু এখনকার ইয়ো-ইয়ো টেস্ট এবং ২ কিলোমিটার টাইম ট্রায়াল টেস্টের পাশাপাশি ব্রঙ্কো টেস্টও যুক্ত করেছেন। এ বিষয়ে ডি ভিলিয়ার্স বলেন, ‘‘দল যখন প্রথম আমাকে এটার কথা বলেছিল, আমি জানতাম না বিষয়টা কী। জিজ্ঞেস করলাম, ‘ব্রঙ্কো টেস্ট কী?’ তারপর আমাকে বোঝানো হল। সেই ১৬ বছর বয়স থেকেই এই পরীক্ষা দিয়ে আসছি।’’
এই পরীক্ষা কতটা কঠিন, তা বলতে গিয়ে ডি ভিলিয়ার্স বলেন, ‘সবচেয়ে খারাপ কাজগুলোর মধ্যে এটা একটা। আমার স্পষ্ট মনে আছে প্রিটোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে, সুপারস্পোর্ট পার্কে দক্ষিণ আফ্রিকার ঠান্ডা শীতের সকালে, বিশেষ করে যেখানে খুব বেশি অক্সিজেন থাকে না, এই পরীক্ষা দিতে হয়েছিল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,৫০০ মিটার উঁচুতে প্রাণ বেরিয়ে গিয়েছিল।’
অবসর নেওয়া রবিচন্দ্রন অশ্বিনও ব্রঙ্কো টেস্ট নিয়ে সতীর্থদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘অ্যাশ কি বাত’-এ অশ্বিন বলেন, ‘ট্রেনার পরিবর্তন হলে ট্রেনিংয়ের পদ্ধতিও বদলায়। যখন সেটা হয় তখন ক্রিকেটারদের সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ দীর্ঘদিন ধরে একটা নির্দিষ্ট ট্রেনিং পদ্ধতিতে আপনি থাকেন। হঠাৎ তাতে বদল করা মুশকিল। এতে চোট পাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।’
পিএ/ এসএন