সীমান্তে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মধ্যে আবারও সংঘাত শুরু

পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য খাইবার পাখতুনখোয়ার কুররম জেলার সীমান্তে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে ইতোমধ্যে আফগান সেনাবাহিনীর ৪টি সীমান্ত পোস্ট এবং ৬টি ট্যাংক ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।

সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলের দিকে কুররম সীমান্তে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে বিনা উসকানিতে যৌথভাবে হামলা চালায় আফগানিস্তানের সেনাবাহনী এবং পাকিস্তানের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)।

হামলার জবাবে পাল্টা আঘাত হানে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। এ সময় আফগানিস্তান সেনাবাহিনীর একটি সীমান্ত পোস্ট এবং একটি ট্যাংক ধ্বংস করা হয়, সঙ্গে নিহত হন টিটিপির একজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডার।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সূত্র জানিয়েছে, সংঘাত শুরুর মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে কুররম সীমান্তের ওপারে আফগানিস্তানের খোস্ট প্রদেশের শামশাদ সেনাপোস্ট ধ্বংস করেন পাকিস্তানের সেনারা। এ সময় সেই পোস্টে থাকা আফগান সেনা ও টিটিপি যোদ্ধাদের মধ্যে কয়েক জন নিহত ও আহত হন, বাকিরা পালিয়ে যান।

শামশাদ পোস্ট ধ্বংস করার পর একই প্রদেশের অপর সেনা পোস্ট নার্গসার ধ্বংস করে পাকিস্তান। এই পোস্টটিতে ট্যাংক মোতায়েন করেছিল আফগান সেনারা। পাক সেনাসূত্রে জানা গেছে, নার্গসার পোস্টে অন্তত ৪টি ট্যাংক ধ্বংস করা হয়েছে।

এরপর সীমান্তের ওপারে আফগান সেনাবাহিনীর তুর্কমানজাই, পোলসেন সেনাপোস্ট ধ্বংস করে পাকিস্তানি সেনারা। তুর্কমানজাই পোস্টে ষষ্ঠ ট্যাংকটি ধ্বংস করা হয়। এছাড়া পোলসেন পোস্টের কাছে একটি জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির ছিল। সেটিও ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সূত্র।

সংঘাতে আফগানিস্তানের এই চার পোস্টে বেশ কয়েক জন আফগান সেনা ও টিটিপি যোদ্ধা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। পাক সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জিও নিউজকে জানিয়েছেন, পাকিস্তানের হামলার সময় টিকতে না পেরে সেনা পোস্ট থেকে পালিয়ে গেছেন জীবিত আফগান সেনারা। একটি পোস্টে সেনারা পালানোর আগে আত্মসমর্পণজ্ঞাপক সাদা পতাকাও তুলেছিলেন।

এমকে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
চাকসু নির্বাচন নিয়ে অহিংস শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের ৮ অভিযোগ Oct 15, 2025
img
জাল টাকার প্রচলন রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কবার্তা Oct 15, 2025
img
ট্রাম্পের মুখে শান্তির কথা মানায় না: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী Oct 15, 2025
img
বিএনপিকে বিবেচনায় নিন, এইটা আমার শেষ ভোট: ফখরুল Oct 15, 2025
img
৪ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ Oct 15, 2025
img
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন Oct 15, 2025
img
খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের অবরোধ Oct 15, 2025
img
আগামী অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ায় সেঞ্চুরি করতে প্রস্তুত জো রুট Oct 15, 2025
img
তিন গোয়েন্দার জনক রকিব হাসান আর নেই Oct 15, 2025
img
পাটব্যাগ চালু করতে শত কোটি টাকার ফান্ড নিয়ে কাজ করছে সরকার : বাণিজ্য উপদেষ্টা Oct 15, 2025
img
অন্যের বস্তায় আম ভরে জামায়াতের আত্মতৃপ্ত রাজনীতি : রনি Oct 15, 2025
img
রাকসু ভোটের আগের দিন ক্যাম্পাসে ক্রিকেট উৎসব Oct 15, 2025
img
চাকসু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াল এক প্যানেল Oct 15, 2025
img
নারায়ণগঞ্জকে মুক্তির জায়গা হিসেবে দেখতে চাই : আসিফ নজরুল Oct 15, 2025
img
মানুষ বোঝে এক ভোট এক প্রার্থী: মির্জা ফখরুল Oct 15, 2025
img
শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস দেখে গায়ের ঘাম শুকিয়ে গেছে : চবি উপাচার্য Oct 15, 2025
img
মিরপুরে গার্মেন্টস ও কেমিক্যাল গুদামের মালিকের হদিস মিলছে না Oct 15, 2025
img
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে দলে জায়গা না পেয়ে শামির মন্তব্য Oct 15, 2025
img
সাবেক এমপি কবিরুল হক মুক্তি কারাগারে Oct 15, 2025
img
এবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভবনে আগুন Oct 15, 2025